এমন সময় আমার সামনে এক বিরাট জামাআত পেশ করা হল। তখন আমি ভাবলাম, এরা আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হলো, এরা হচ্ছে মূসা (আঃ) এবং তাঁর জাতিঃ এখানে বনী ইসরাঈলের ঐ সমস্ত লোকের ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, যারা মূসা (আঃ) এর প্রতি, অন্যান্য নবী-রাসূলের প্রতি এবং তাওরাত, ইঞ্জিল, যবুর এবং ফুরকানসহ অন্যান্য আসমানি কিতাবের উপর ঈমান আনয়ন করেছিল। দলে দলে বিভক্ত হওয়ার পূর্বে বনী ইসরাঈলের লোক সংখ্যা অনেক ছিল। তাদের মধ্যে অনেক নবীও ছিলেন। অতঃপর ইহুদীরা নানা অপকর্মে লিপ্ত হল। এ হাদীছটি প্রমাণ করে যে, মুসা (আঃ)এর অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রচুর। আল্লাহ্ তাআলা সূরা যাছিয়ার ১৬ নং আয়াতে বলেনঃ
وَلَقَدْ آتَيْنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ الْكِتَابَ وَالْحُكْمَ وَالنُّبُوَّةَ وَرَزَقْنَاهُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَفَضَّلْنَاهُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ
‘‘আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নবুওয়াত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে উৎকৃষ্ট রিযিক দিয়েছিলাম এবং বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম’’। অর্থাৎ তাদের যামানায় তাদেরকে অন্যান্য জাতির উপর প্রাধান্য দিয়েছিলাম। কেননা তাদের যামানায় এবং তাদের পূর্বে অসংখ্য লোক কুফুরী করেছিল। তাদের সঠিক সংখ্যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউ জানেনা। যেমন জালুত, বখতে নসর এবং তাদের ন্যায় অন্যান্যরা। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা বনী ইসরাঈলকে ঈমানের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। এর মাধ্যমেই তারা সমসাময়িক লোকদের তুলনায় অধিক সম্মানিত হয়েছিল। অতঃপর তাদের অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল, যার বিবরণ আল্লাহ্ তাআলা সূরা বাকারা এবং অন্যান্য সূরাতে প্রদান করেছেন। অর্থাৎ তারা নবীদের নাফরমানী করেছিল এবং দ্বীন নিয়ে মতবিরোধ করেছিল। আল্লাহ্ তাআলা এই কথা আলোচনা করে ঐ সমস্ত ইহুদীদের প্রতিবাদ করেছেন, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কুফরী করেছিল। সম্মানিত পাঠকগণের উচিৎ ইহুদীদের ঐ সমস্ত অবস্থা নিয়ে চিন্তা করা, যা মতবিরোধে লিপ্ত হওয়ার পর তাদের উপর আপতিত হয়েছিল।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, অতঃপর আমি উপরের দিকে মাথা উঠিয়ে একটি বড় জামাআতকে দেখতে পেলাম। অন্য বর্ণনায় এসেছে, সংখ্যাধিক্যের কারণে দলটি আকাশের দিগন্তকে ভরে দিয়েছিল। আমাকে বলা হল এটি আপনার উম্মত। তাদের মধ্যে রয়েছে সত্তর হাজার লোক। তারা বিনা আযাবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবেঃ এই হাদীছে উম্মতে মুহাম্মাদীর ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। যে সমস্ত উম্মত নবীদের অনুসরণ করেছে, তার মধ্যে উম্মতে মুহাম্মাদীর সংখ্যাই হবে সর্বাধিক। সাহাবায়ে কেরাম, খোলাফায়ে রাশেদীন এবং তাদের পরবর্তী যুগেই মুসলমানদের সংখ্যা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে গ্রাম, শহর এবং ময়দান ভরপুর হয়ে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে জ্ঞান চর্চা বৃদ্ধি পেয়েছিল। জ্ঞান চর্চা ও বিভিন্ন উপকারী শিল্পকর্মে তারা উন্নতি সাধন করেছিল। উপরোক্ত তিনটি সম্মানিত যামানার লোকজন কিতাব ও সুন্নাতের উপর কায়েম ছিল। কিন্তু আখেরী যামানায় জ্ঞানী ও বিজ্ঞ মুসলমানদের সংখ্যা খুব কম হয়ে গিয়েছে। আমাদের সম্মানিত শাইখ এ ক্ষেত্রে বলেনঃ এই হাদীছ দ্বারা উম্মাতে মুহাম্মাদীর ফযীলত প্রমাণিত হয়। কাইফিয়াত ও কাম্মিয়াত (মান ও পরিমাণ) উভয় দিক থেকেই উম্মতে মুহাম্মাদী ফযীলতময়। তাদের সংখ্যা হবে অত্যাধিক এবং তাদের বৈশিষ্ট-গুণাবলীও হবে উত্তম। উপরের হাদীছে বর্ণিত হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে সত্তর হাজার লোক। তারা বিনা হিসাবে ও বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অতঃপর তিনি উঠে বাড়িতে প্রবেশ করলেন। তাঁর চলে যাওয়ার পর সাহাবীগণ ঐ সত্তর হাজার লোক সম্পর্কে আলোচনা শুরু করল।
এই হাদীছে ইল্মে দ্বীন চর্চায় সাহাবীদের সুউচ্চ মর্যাদা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীছ বুঝতে ও তার প্রতি আমল করতে তাদের আগ্রহের প্রমাণ রয়েছে। এতে আরো প্রমাণ পাওয়া যায় যে, কোন বিষয়ে দলীল পাওয়া না গেলে ইজতেহাদ করা জায়েয আছে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘরে প্রবেশের পর তারা ইজতেহাদ করে অনেক কথাই বলেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কোন প্রতিবাদ করেন নি। তবে কথা হচ্ছে, মুজতাহিদের নিকট যদি কোন দলীল না থাকে, তাহলে তার মতকে নিশ্চিতভাবে সঠিক বলা জায়েয নেই। তার এভাবে বলা উচিৎ যে, সম্ভবত হুকুমটি হবে এ রকম এ রকম। যেমন সাহাবীগণ এই হাদীছের ক্ষেত্রে বলেছিলেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নিকট বের হয়ে এসে বললেনঃ তারা হচ্ছে ঐসব লোক যারা ঝাড়-ফুঁক করেনা, পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করেনা এবং লোহা গরম করে শরীরে উহা দ্বারা দাগ দেয় না। বরং তারা তাদের রবের উপর ভরসা করেঃ অর্থাৎ তারা কারো নিকট গিয়ে ঝাড়-ফুঁক করার আবেদন জানায়না এবং তাদের শরীরে যদি এমন কোন রোগ থাকে, যা দাগ দেয়া ব্যতীত ভাল হওয়ার নয়, তারপরও তারা নিজেদের শরীরে দাগ লাগায় না। তারা পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করেনা। পাখি উড়িয়ে ভাগ্যের ভাল-মন্দ যাচাই করা শির্ক। তাই তারা এ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত থাকে। সেই সঙ্গে তারা নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য অপরের নিকট আবেদন করেনা। ঝাড়-ফুঁক বা অন্য যে কোনো প্রয়োজনই হোক না কেন। আরোগ্যের জন্য হলেও তারা শরীরে দাগ লাগায় না। আল্লাহর উপর তাদের মজবুত ভরসা এবং তাদের সকল-কাজকর্ম আল্লাহর নিকট সোপর্দ করার কারণেই তারা এরূপ করেন। আল্লাহ্ তাআলা তাদের নসীবে যা কিছু রেখেছেন এবং তাদের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করেছেন, সে বিষয়ে তারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো দ্বারস্থ হয়না। সুতরাং তারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারও কাছে কিছুই কামনা করেন না, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করেন না। তারা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করেন, যে রোগ বা অন্য কোন মসীবত তাদের নিকট আপতিত হয়েছে, তা কেবল আল্লাহর নির্ধারণ ও ইচ্ছা অনুযায়ীই হয়েছে। সুতরাং ক্ষতি ও অকল্যাণ দূর করার জন্য তারা একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নিকট গমণ করেনা। আল্লাহ্ তাআলা ইয়াকুব (আঃ) সম্পর্কে বলেনঃ
إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لا تَعْلَمُونَ
‘‘আমি তো আমার দুঃখ ও দুর্দশার অভিযোগ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো কাছে করছিনা এবং আমি আল্লাহ্র পক্ষ হতে এমন কিছু জানি, যা তোমরা জান না’’। (সূরা ইউসুফঃ ৮৬)
উক্কাশা বিন মিহসান[6] দাড়িয়ে বলল, আপনি আমার জন্য দুআ করুন। আল্লাহ তাআলা যেন আমাকে এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের দলভূক্ত করে নেনঃ এ থেকে বুঝা যাচ্ছে, জীবিত ব্যক্তি কর্তৃক কারো জন্য শাফাআত করার অর্থ হল, যার কাছে দুআ করার আবেদন করা হবে, তিনি শাফাআত প্রার্থনাকারীর জন্য দুআ করবেন। আর মৃত কোন কারও জন্য সুপারিশ করতে অক্ষম। জ্ঞানী ব্যক্তিদের নিকট এর কারণগুলো মোটেই অস্পষ্ট নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি মৃত কিংবা অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে কিছু প্রার্থনা করল, সে তার কাছে এমন জিনিষ প্রার্থনা করল, যার মালিক সে নয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট এমন জিনিষ প্রার্থনা করল, যার মালিক একমাত্র আল্লাহ্, সে তাকে আল্লাহর শরীক নির্ধারণ করল। মক্কার মুশরিকদের কাজ এ রকমই ছিল। আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
فَلاَ تَجْعَلُواْ لِلّهِ أَندَاداً وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
‘‘অতএব তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহ্র সাথে অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ করোনা’’। (সূরা বাকারাঃ ২২) অর্থাৎ তোমরা অবগত আছ যে, তিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের প্রভু। তিনি তোমাদেরকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল প্রকার নেয়ামত দান করেছেন। সুতরাং তোমরা তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যের দিকে মনোনিবেশ করোনা। বরং একনিষ্ঠভাবে সকল এবাদত তাঁর জন্যই সম্পাদন করো। কম বা বেশী যা কিছু চাও, কেবল আল্লাহর কাছেই চাও।
তুমি তাদের অন্তর্ভূক্তঃ এ কথা বলার কারণ এই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উকাশার ঈমান, ফযীলত এবং জিহাদ সম্পর্কে অবগত ছিলেন। আল্লাহ্ তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে অবগত ছিলেন বলেই তিনি বলেছেনঃ তোমাদের যা ইচ্ছা করতে পার। আল্লাহ্ তাআলা তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
অন্য একজন দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন, তিনি যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভূক্ত করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ এ ব্যাপারে উক্কাশা তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছেঃ এ কথা দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যান্য লোকদের জন্য এই পথ বন্ধ করতে চেয়েছেন। যাতে একের পর এক লোকেরা এই আবেদন করতে না থাকে যে, আমার জন্য দুআ করুন, আল্লাহ্ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভূক্ত করেন। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে সম্ভবতঃ এমন ব্যক্তিও একই আবেদন করে ফেলবে, যার উপযুক্ত সে নয়। উপরোক্ত উক্তির দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন। এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১) তাওহীদের ব্যাপারে মানুষের বিভিন্ন স্তর থাকার কথা জানা গেল।
২) নবী ইবরাহীম (আঃ) মুশরিক ছিলেন না বলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা।
৩) তাওহীদের দাবী পূর্ণ করার তাৎপর্য কী, তা জানা গেল।
৪) বড় বড় আওলীয়ায়ে কেরাম শির্ক থেকে মুক্ত ছিলেন বলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জবানে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা।
৫) ঝাড়-ফুঁক থেকে বিরত থাকা এবং ছেঁকা গ্রহণ পরিত্যাগ করা তাওহীদপন্থী হওয়ার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
৬) আল্লাহর উপর ভরসাই বান্দার মধ্যে উল্লেখিত গুণাবলীর সমাবেশ ঘটায়।
৭) বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশকারী সৌভাগ্যবান লোকেরা কোন আমল ব্যতীত উক্ত মর্যাদা লাভ করেন নি, এটা জানার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের জ্ঞানের গভীরতা।
৮) কল্যাণ অর্জনের প্রতি তাঁদের অপরিসীম আগ্রহ।
৯) সংখ্যা ও গুণাবলীর দিক থেকে উম্মতে মুহাম্মদীর ফযীলত সম্পর্কে জানা গেল।
১০) নবী মূসা (আঃ) এর উম্মতের মর্যাদা।
১১) সব উম্মতকে তাদের নবীসহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে।
১২) প্রত্যেক উম্মতই নিজ নিজ নবীর সাথে পৃথকভাবে হাশরের ময়দানে উপস্থিত হবে।
১৩) খুব অল্প সংখ্যক লোকই নবীগণের আহবানে সাড়া দিয়েছিল।
১৪) যে নবীর দাওয়াত কেউ গ্রহণ করেনি তিনি একাই হাশরের ময়দানে উপস্থিত হবেন।
১৫) এ জ্ঞানের শিক্ষা হচ্ছে, সংখ্যাধিক্যের দ্বারা ধোঁকা না খাওয়া আবার সংখ্যাল্পতার কারণে অবহেলা না করা।
১৬) বদনযর লাগা এবং বিষাক্ত কীট-পতঙ্গের কামড়ের চিকিৎসার জন্য ঝাড়-ফুঁকের অনুমতি পাওয়া গেল।
১৭) সালাফে সালেহীনের জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে জানা গেল। قد أحسن من انتهى إلى ما سمع ‘‘সে ব্যক্তি ভাল কাজ করেছে, যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনেছে তাই আমল করেছে’’ -এ কথাই তার প্রমাণ। তাই প্রথম হাদীছ দ্বিতীয় হাদীছের বিরোধী নয়।
১৮) মানুষের মধ্যে যে গুণ নেই তার প্রশংসা থেকে সালাফে সালেহীনগণ বিরত থাকতেন।
১৯) أنت منهم ‘‘তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত’’ -উক্কাশার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ কথা তাঁর নবুওয়াতেরই প্রমাণ।
২০) উক্কাশা রাযিয়াল্লাহু আনহুর মর্যাদা ও ফযীলত।
২১) কোনো কথা সরাসরি না বলে হিকমত ও কৌশল অবলম্বন করা।
২২) ইঙ্গিতের মাধ্যমে কথা বলা জায়েয।
২৩) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উত্তম চরিত্রের বর্ণনা।