উত্তর: কোনো মানুষ যদি ক্বিরান হজ করতে চায়, তবে তার তাওয়াফে ইফাদ্বা বা হজের তাওয়াফ ও হজের সা‘ঈ উমরা ও হজ উভয়টির জন্য যথেষ্ট হবে। তখন তাওয়াফে কুদূম তার জন্য সুন্নাত। সে ইচ্ছা করলে হজের সা‘ঈ তাওয়াফে কুদূমের পরপরই আদায় করে নিতে পারে। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন। ইচ্ছা করলে সা‘ঈ বাকী রেখে তাওয়াফে ইফাদ্বার পর করতে পারে। কিন্তু পূর্বেই করে নেওয়া উত্তম। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করেছিলেন। অতঃপর ঈদের দিন শুধুমাত্র তাওয়াফে ইফাদ্বা করবে। সা‘ঈ করবে না। ক্বিরানকারীর হজ ও উমরার জন্য একটি মাত্র তাওয়াফ ও সা‘ঈ যথেষ্ট হওয়ার দলীল হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী। তিনি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে বলেন,
«طَوَافُكِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ يَكْفِيكِ لِحَجَّتِكِ وَعُمْرَتِكِ»
“আল্লাহর ঘরের তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ তোমার হজ ও উমরার জন্য যথেষ্ট হবে।”[1] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ছিলেন ক্বিরান হজকারীনী। অতএব, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করে দিলেন যে, ক্বিরানকারীর তাওয়াফ ও সা‘ঈ হজ ও উমরা উভয়টির জন্য যথেষ্ট।