ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ প্রশ্ন এবং তাঁর উত্তরসমুহ হাফেয বিন আহমাদ আল-হাকামী (রহঃ)
প্রশ্নঃ (১৯১) তাওবায়ে নাসুহা কাকে বলে?

উত্তরঃ তাওবায়ে নাসুহা ঐ তাওবাকে বলা হয় যা অন্তর থেকে খাঁটি ও একনিষ্ঠভাবে করা হয়। তাতে তিনটি শর্ত থাকা জরুরী। (১) গুনাহ্ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা ও তা বর্জন করা (২) কৃতগুনাহ্এর জন্যে অনুতপ্ত হওয়া এবং (৩) আগামীতে গুনাহ্ না করার প্রতি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া। আর যদি কোন মুসলমানের উপর যুলুম করে থাকে তাহলে তার নিকট থেকে ক্ষমা নিতে হবে। কেননা দুনিয়াতে ক্ষমা না চাইলে কিংবা তার হক ফেরত না দিলে কিয়ামতের দিন সে যুলুমের বদলা দাবি করবে। অতঃপর যালেমের নিকট থেকে মজলুম ব্যক্তির জন্যে অবশ্যই প্রতিশোধ নেয়া হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারো উপর যুলুম করা এমন গুনাহ্, যা থেকে আল্লাহ্ তাআলা সামান্য পরিমাণও ক্ষমা করবেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(مَنْ كَانَتْ عِنْدَهُ مَظْلِمَةٌ لأَخِيهِ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهَ اليوم فَإِنَّهُ قبل أن لايكون دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إن كان له حسنات أخذ من حسناته وإلا أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ أَخِيهِ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ)

‘‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের কোন বিষয়ে অত্যাচারের জন্য দায়ী সে যেন সেই দিন আসার আগে আজই তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়, যেদিন কোন দীনার বা দিরহাম থাকবেনা। তার যদি কোন ভাল আমল থেকে থাকে তা থেকে জুলুমের সমপরিমাণ কেটে নেয়া হবে। আর তার যদি কোন নেকী না থাকে তবে মজলুমের পাপ থেকে কিছু নিয়ে জালেমের উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।[1]

[1] - বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল মাযালেম।