উত্তরঃ বড় ফিসক এর উদাহরণ হচ্ছে, যা আল্লাহ্ তাআলা কুরআন মজীদে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তাআ’লা বলেনঃ
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
‘‘নিশ্চয়ই মুনাফেকরা হচ্ছে ফাসেক’’। (সূরা তাওবাঃ ৬৭) আল্লাহ্ তাআ’লা আরও বলেনঃ
إِلاَّ إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ
‘‘ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল। সে ছিল জিনদের একজন। সে তার প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল’’। (সূরা কাহ্ফঃ ৫০) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَتْ تَعْمَلُ الْخَبَائِثَ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمَ سَوْءٍ فَاسِقِينَ
‘‘আর আমি লুতকে উদ্ধার করেছিলাম এমন জনপদ হতে, যার অধিবাসীরা লিপ্ত ছিল অশ্লীল কর্মে। নিশ্চয়ই তারা ছিল মন্দ ও ফাসেক সম্প্রদায়’’। (সূরা আম্বীয়াঃ ৭৪)
আর ছোট ফিস্ক এর উদাহরণ হচ্ছে যা আল্লাহ্ তাআলা কুরআন মজীদে ব্যভিচারের অপবাদ দানকারীদের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
وَلاَ تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ
‘‘আর তোমরা কখনই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করো না। আর তারাই তো ফাসেক’’। (সূরা নূরঃ ৪) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
‘‘হে মুমিনগণ! যদি কোন ফাসেক তোমাদের নিকট কোন বার্তা নিয়ে আসে, তবে তা পরীক্ষা করে দেখ, যাতে অজ্ঞতা বশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়কে কষ্ট না পৌঁছাও। পরিণামে তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের জন্যে লজ্জিত হবে’’। (সূরা হুজরাতঃ ৬) বর্ণিত হয়েছে যে, আয়াতটি অলীদ বিন উকবাকে উদ্দেশ্য করে অবতীর্ণ হয়েছে।