উত্তর: তার উমরা বিশুদ্ধ। যদিও একদিন বা দু’দিন বা ততোধিক দিন বিলম্ব করে থাকে, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু শর্ত হচ্ছে ঋতু থেকে পূর্ণ পবিত্র হওয়ার পরই উমরা আদায় করবে। কেননা ঋতুবতী নারীর জন্য আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা জায়েয নয়। এ জন্য আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কায় আগমন করলে ঋতুবতী হয়ে পড়েন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন,
«افْعَلِي كَمَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ غَيْرَ أَنْ لَا تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي».
“হাজীগণ যা করে তুমিও তাই করে যাও, তবে পবিত্রা না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করো না।”[1]
যখন সাফিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা ঋতুবতী হয়ে গেলন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কি আমাদেরকে আটকিয়ে রাখবে নাকি? তিনি ভেবেছিলেন সাফিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা তাওয়াফে ইফাদ্বা করেন নি। তারা বলল, তিনি তো তাওয়াফে ইফাদ্বা করে নিয়েছেন। একথা শুনে তিনি বললেন, ‘তাহলে তোমরা বের হয়ে পড়’।[2]অতএব, ঋতুবতী নারীর জন্য আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করা বৈধ নয়। মক্কায় এসে ঋতুবতী হয়ে পড়লে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ওয়াজিব। কিন্তু আল্লাহর ঘর তাওয়াফ শেষ করে সা‘ঈ করার পূর্বে যদি ঋতু এসে যায়, তবে উমরা পূর্ণ করবে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। আর সা‘ঈ শেষ করার পর ঋতু আসলে তখন বিদায়ী তাওয়াফের আবশ্যকতা নেই। কেননা ঋতুবতীর জন্য বিদায়ী তাওয়াফ রহিত।
[2] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: হজের তাওয়াফের পর নারী ঋতুবতী হলে; সহীহ মুসলিম অধ্যায়: হজ, অনুচ্ছেদ: বিদায়ী তাওয়াফ ওয়াজিব এবং ঋতুবতী নারীর জন্য রহিত হওয়া।