ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে নিষিদ্ধ কর্মকান্ড কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত নিষিদ্ধ কর্মসমূহ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী
১৭১. কারোর সম্মুখে তার ভূয়সী প্রশংসা করা

মু’আবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন:

إِيَّاكُمْ وَالتَّمَادُحَ فَإِنَّهُ الذَّبْحُ

‘‘তোমরা একে অপরের প্রশংসা করা থেকে দূরে থাকো। কারণ, সম্মুখ প্রশংসা হচ্ছে কাউকে জবাই করার শামিল’’।[1]

আবু বাক্রাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: জনৈক ব্যক্তি নবী (সা.) এর সম্মুখে অন্য জনের প্রশংসা করছিলো। তখন নবী (সা.) প্রশংসাকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

وَيْحَكَ! قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ ، قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ مِرَاراً ، إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ مَادِحاً صَاحِبَهُ لاَ مَحَالَةَ ، فَلْيَقُلْ: أَحْسِبُ فُلاَناً ، وَاللهُ حَسِيْبُهُ ، وَلاَ أُزَكِّيْ عَلَى اللهِ أَحَداً ، أَحْسِبُهُ ، إِنْ كَانَ يَعْلَمُ ذَلِكَ كَذَا وَكَذَا

‘‘তুমি ধ্বংস হও! তুমি ওর ঘাড় ভেঙ্গে দিয়েছো। তুমি ওর ঘাড় ভেঙ্গে দিয়েছো। এ কথা রাসূল (সা.) কয়েক বার বলেছেন। তবে যদি তোমাদের কেউ অবশ্যই কারোর প্রশংসা করতে চায় তাহলে সে যেন বলেঃ আমি ধারণা করছি, তবে আল্লাহ্ তা’আলাই ভালো জানেন। আমি তাঁর উপর কারোর পবিত্রতা বর্ণনা করতে চাই না। আমি ধারণা করছি, সে এমন এমন। সে ও ব্যক্তির ব্যাপারে ততটুকুই বলবে যা সে তার ব্যাপারে ভালোভাবেই জানে’’।[2]

এমনকি রাসূল (সা.) কাউকে কারোর সম্মুখে প্রশংসা করতে দেখলে তার চেহারায় মাটি ছুঁড়ে মারতে নির্দেশ দিয়েছেন।

হাম্মাম (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা জনৈক ব্যক্তি ’উসমান (রা.) এর সম্মুখে তাঁর প্রশংসা করলে মিক্বদাদ (রা.) তার চেহারায় মাটি ছুঁড়ে মারেন এবং বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:

إِذَا رَأَيْتُمُ الْـمَدَّاحِيْنَ فَاحْثُوْا فِيْ وُجُوْهِهِمُ التُّرَابَ

‘‘যখন তোমরা প্রশংসাকারীদেরকে দেখবে তখন তোমরা তাদের মুখে মাটি ছুঁড়ে মারবে’’।[3]রাসূল (সা.) কারোর সম্মুখে তার ভূয়সী প্রশংসা করতে এ জন্যই নিষেধ করেছেন যেন তার প্রশংসায় কোন রকম অমূলক বাড়াবাড়ি করা না হয় এবং সেও ব্যক্তিগতভাবে নিজ আত্ম-অহমিকা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

>
[1] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩৮১১)

[2] (বুখারী, হাদীস ২৬৬২, ৬০৬১ মুসলিম, হাদীস ৩০০০ আবু দাউদ, হাদীস ৪৮০৫ ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩৮১২)

[3] (মুসলিম, হাদীস ৩০০২ আবু দাউদ, হাদীস ৪৮০৪ ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৩৮১০)