’হুযাইফাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
لاَ يَنْبَغِيْ لِلْمُؤْمِنِ أَنْ يُّذِلَّ نَفْسَهُ ، قَالُوْا : وَكَيْفَ يُذِلُّ نَفْسَهُ ؟ قَالَ: يَتَعَرَّضُ مِنَ الْبَلاَءِ لِمَا لاَ يُطِيْقُ
‘‘কোন মু’মিনের জন্য উচিৎ হবে না নিজকে কোন ভাবে লাঞ্ছিত করা। সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ (হে আল্লাহ্’র রাসূল!) কিভাবে কেউ নিজকে লাঞ্ছিত করে? তিনি বললেনঃ কেউ নিজ সাধ্যাতীত কোন বিপদ স্বেচছায় নিজ কাঁধে উঠিয়ে নেয়া’’।[1]
কাউকে কোন শরীয়ত বিরোধী কাজ করতে দেখে তাকে উক্ত কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা না করে তা চোখ বুজে মেনে নেয়াও নিজকে লাঞ্ছিত করার শামিল।
আবু সা’ঈদ্ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِنَّ اللهَ لَيَسْأَلُ الْعَبْدَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَقُـوْلَ : مَا مَنَعَكَ إِذْ رَأَيْتَ الْـمُنْكَرَ أَنْ تُنْكِـرَهُ ؟ فَإِذَا لَقَّنَ اللهُ عَبْدًا حُجَّتَهُ قَالَ : يَا رَبِّ ! رَجَوْتُكَ وَفَرِقْتُ مِنَ النَّاسِ
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলা বান্দাহ্কে কিয়ামতের দিন এ বলে প্রশ্ন করবেন যে, তুমি যখন তোমার সামনে অসৎ কাজ সংঘটিত হতে দেখলে তখন তুমি তাতে বাধা দিলে না কেন? যখন আল্লাহ্ তা’আলা বান্দাহ্কে তার কৈফিয়ত দেয়ার সুযোগ দিবেন তখন সে বলবেঃ হে আমার প্রভু! আমি আপনার অনুগ্রহের আশা অবশ্যই করেছিলাম। তবে তখন মানব ভীতিই আমার মধ্যে বেশি কাজ করেছিলো’’।[2]
>[2] (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪০৮৯)