ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম ১৭. নবীগণের পাপ ও পাপীর শাফা‘আত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
নবীগণের পাপ ও পাপীর শাফা‘আত

সবাইকে মানি বলে প্রতারণা করে দলে ভেড়ানোর পর ঈসায়ী প্রচারকদের প্রথম কর্ম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি অভক্তি তার হৃদয়ে রোপণ করেন। এ সকল ঘৃণ্য কথাগুলির মধ্যে তারা বলেন: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাপী (নাঊযু বিল্লাহ!) তিনি শাফা‘আত করতে পারবেন না; মাসীহ নিষ্পাপ কাজেই তিনি শাফা‘আত করবেন। লক্ষ্য করুন:

প্রথমত: এক পাপী অন্য পাপীর শাফা‘আত করতে পারবেন না- কথাটি মহা মিথ্যা। খৃস্টানগণ বিশ্বাস করেন যে, মূসা, হারূন ও অন্যান্য সকল নবী পাপী (নাঊযু বিল্লাহ); কিন্তু আল্লাহ তাদের সুপারিশ গ্রহণ করেন। ইস্রায়েলীয়গণ গোবৎস পূজা করলে আল্লাহ তাদের সকলকেই ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন মূসা (আঃ) তাদের জন্য সুপারিশ করেন এবং আল্লাহ সুপারিশ গ্রহণ করেন। (যাত্রাপুস্তক ৩২/৭-১৪) আরো কয়েকবার ইস্রায়েলীয়গণ মহাপাপে লিপ্ত হলে আল্লাহ সকলকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে মূসা (আঃ) ও হারূন (আঃ)-এর শাফাআতে তাদের ক্ষমা করে দেন (গণনা পুস্তক ১৬ এবং ২১ অধ্যায়: ১৬/২০-২৪ ও ৪১-৫০; ২১/৪-৯)।

দ্বিতীয়ত: ঈসা মাসীহ নিষ্পাপ কথাটিও ইঞ্জিলের আলোকে অসত্য। আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ঈসা মাসীহ ও অন্যান্য সকল নবী-রাসূল নিষ্পাপ ছিলেন। কিন্তু কিতাবুল মোকাদ্দস বা প্রচলিত ইঞ্জিলকে আল্লাহর কালাম বলে বিশ্বাস করলে বিশ্বাস করতে হবে যে, ঈসা মাসীহ মহাপাপী ছিলেন। কারণ, তিনি মানুষদেরকে গালিগালাজ করতেন (মথি ১৬/২৩, ২৩/১৩-৩৩), অন্য বংশ বা ধর্মের মানুষদেরকে শূকর ও কুকুর বলে বিশ্বাস করতেন ও এরূপ সাম্প্রদায়িকতা শিক্ষা দিয়েছেন (মথি ৭/৬; ১৫/২২-২৮, মার্ক ৭/২৫-২৯), পূর্ববর্তী নবী-রাসূলদেরকে চোর-ডাকাত বলতেন (যোহন ১০/৭-৮), নিরপরাধ মানুষদেরকে অভিশাপ দিতেন (মথি ২৩/৩৫-৩৬), অকারণে হত্যা করতেন (মথি ২১/১৮-২১, মার্ক ৫/১০-১৪; ১১/১২-২২), অবিশ্বাসীদেরকে নির্বিচারে ধরে ধরে তাঁর সামনে জবাই করার নির্দেশ দিতেন (লূক ১৯/২৭), মিথ্যা ওয়াদা ও ভবিষ্যদ্বাণী করতেন (মথি ১৬/২৭-২৮: ১৯/২৮: মার্ক ২/২৫-২৬, ১১/২৩, ১৬/১৭-১৮: লূক ১৮/২৯-৩০, যোহন ৩/১৩), মদ পান করে মাতাল হতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, যোহন ১৩/৪-৫), বেশ্যা মেয়েদেরকে তাঁকে স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে দিতেন (লূক ৭/৩৪-৫০, ৮/১-৩, যোহন ১১/১-৫)। তিনি নিজের মায়ের সাথে ভয়ঙ্কর বেয়াদবি করেছেন। একদিন তাঁর মা তাঁকে বলেন যে, তাদের দ্রাক্ষারস (মদ) নেই। তখন “যীশু তাহাকে কহিলেন, হে নারি, আমার সঙ্গে তোমার বিষয় কী? (Woman, what have I to do with thee?) (যোহন ২/৪) এভাবে বারংবার তিনি মাকে “ওহে নারি” (Woman) বলে সম্বোধন করেছেন (যোহন ১৯/২৬); তাঁকে সাক্ষাৎ দানে অস্বীকার করেছেন ও তুচ্ছ করেছেন। (মথি ১২/৪৬-৫০; মার্ক ৩/৩১-৩৫; লূক ৮/১৯-২১)। এগুলি পাপ না হলে পাপ কী?

তৃতীয়ত: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাপী কথাটিও কুরআন, হাদীস ও বাস্তবতার আলোকে মহা মিথ্যা কথা। খৃস্টান প্রচারকগণ কুরআন বা হাদীস থেকে একটি তথ্যও পেশ করতে পারবেন না যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুক সময়ে অমুক পাপ করেছিলেন। কোনো কিছু না পেয়ে তারা বলেন: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৫৫ বৎসর বয়য়ে ১০ বৎসরের কিশোরীকে বিবাহ করেছিলেন, কাজেই তাঁর চরিত্র ভাল ছিল না! (নাউযূ বিল্লাহ) এ হলো তাদের ‘সব নবীকে ভক্তি করার’ চিত্র! আপনি বলুন: স্বেচ্ছায় দুজনের বৈধ বিবাহ কি পাপ? না বেশ্যা মেয়েদের সাথে জড়াজড়ি, তাঁদের নিয়ে একত্রে ভ্রমন ও রাত্রিযাপন, মদ খেয়ে কাপড় খোলা ইত্যাদি পাপ? আমাদের বিশ্বাসে নবীগণ নিষ্পাপ, তবে আপনাদের ইঞ্জিল অনুসারে ঈসা মাসীহ এগুলি করেছেন।

চতুর্থত: কুরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করেছেন। (সূরা ফাতহ ১-২ আয়াত) আরো বলা হয়েছে যে, হে নবী আপনি আপনার ও মুমিন নারী-পুরুষদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (সূরা মুমিন ৫৫ আয়াত ও সূরা মুহাম্মাদ ১৯ আয়াত)। এছাড়া বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মুহাম্মাদ (e) আল্লাহর কাছে নিজের পাপের জন্য ক্ষমা চাইতেন। এ থেকে তারা বলতে চান যে তিনি পাপী ছিলেন (নাঊযূ বিল্লাহ)।

“ক্ষমা” অর্থ পাপে লিপ্ত হওয়ার পরে ক্ষমা করাই শুধু নয়। কাউকে পাপ থেকে রক্ষা করাকেও ক্ষমা করা বলা হয়। কুরআন-হাদীস থেকে প্রমাণিত যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কোনো পাপে লিপ্ত হন নি। বিরোধীরাও প্রমাণ করতে পারবেন না যে, তিনি অমুক সময়ে অমুক কর্ম করেছেন যা তাঁর জন্য পাপ বলে গণ্য। এতে প্রমাণিত হয় যে, “তোমার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পাপ ক্ষমা করা হয়েছে” অর্থ তোমাকে পূর্বে ও পরে পাপের কলঙ্কে নিপতিত হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন।

পঞ্চমত: দো‘আর শুরুতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম উল্লেখ করলে দো‘আ কবুল হওয়ার নিশ্চয়তা বাড়ে। এজন্যই মহান আল্লাহ তাঁকে উম্মাতের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আগে তার নিজের নাম উল্লেখ করতে শিখিয়েছেন। যেন উম্মাতের সকলেই ক্ষমা লাভ করতে পারেন।

ষষ্ঠত: আল্লাহর প্রিয় মানুষেরা সাধারণ ত্রুটিবিচ্যুতিকেও পাপ বলে গণ্য করেন। আল্লাহর যিকর থেকে বিরত থাকা, মনের মধ্যে সামান্যতম মানবীয় চিন্তার উদ্রেক, কারো উপর সামান্য রাগ করা, দুটি বৈধ বিষয়ের মধ্যে উত্তমটিকে বাদ দিয়ে অনুত্তম বৈধ বিষয় গ্রহণ করা ইত্যাদি বিষয়কেও তারা পাপ বলে গণ্য করে ক্ষমা প্রার্থনায় ব্যস্ত হন। প্রকৃতপক্ষে এগুলি কোনো পাপই নয়। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পর্যায়ের ক্ষমা প্রার্থনা করতেন এবং উম্মাতকে এভাবে ক্ষমা প্রার্থনা শিক্ষা দিয়েছেন। কারণ ক্ষমা প্রার্থনা মহান আল্লাহর অন্যতম যিকর। মুমিন যখন সামান্যতম অমনোযোগিতার জন্যও আল্লাহর কাছে বিনয়ী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তখন তাঁর হৃদয় আল্লাহর রহমত, বরকত ও প্রশান্তিতে পরিপূর্ণ হয় এবং পবিত্র থেকে পবিত্রতর হয়। একে প্রকৃত পাপের স্বীকারোক্তি বলে দাবি করলে ঈসা মাসীহকে দ্বিতীয়বার আবার মহাপাপী বলতে হবে:

(ক) এক ব্যক্তি ঈসা মাসীহকে সৎ গুরু বা ভাল শিক্ষক (Good Master) বলে সম্বোধন করে। তিনি বলেন: “Why callest thou me good? there is none good but one, that is, God” অর্থাৎ: আমাকে সৎ কেন বলিতেছ? এক জন ব্যতিরেকে সৎ আর কেহ নাই, তিনি ঈশ্বর। (মার্ক ১০/১৭-১৮ ও লূক ১৮/১৮-১৯)। এ কথাকে আক্ষরিক গ্রহণ করে কি আমরা বলব যে, মাসীহ অসৎ ছিলেন?

(খ) ইয়াইয়া (আঃ) পাপমোচনের জন্য তাওবার বাপ্তাইজ করেন। যীশু তাঁর কাছে বাপ্তাইজ হন। (মার্ক ১/৪-৯, লূক ৩/৩) এতে কি যীশু পাপী ছিলেন প্রমাণ হয়?

(গ) ঈসা মাসীহ বেশি বেশি প্রার্থনা করতেন (মথি ৪/২, মার্ক ১/৩৫, লূক ৫/১৬, ৬/১২)। তাঁর শেখানো প্রার্থনা: “আর আমাদের অপরাধ সকল ক্ষমা কর, যেমন আমরাও আপন আপন অপরাধীদিগকে ক্ষমা করিয়াছি (forgive us our debts, as we forgive our debtors)(মথি ৬/১২-১৩)। এ থেকে কি আমরা প্রমাণ করব যে, তিনি অনেক পাপ করতেন বলে বেশি বেশি প্রার্থনা করতেন?

(ঘ) ইঞ্জিলের ভাষ্যে যীশু বলেন: “ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করিয়াছ? (My God, my God, why hast thou forsaken me?)” (মথি ২৭/৪৬)। এতে কি প্রমাণ হয় যে, তিনি আল্লাহ পরিত্যক্ত মহাপাপী ছিলেন?

৭০ বার ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গ: মুনাফিকদের প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন: “আপনি ওদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন অথবা ওদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করুন একই কথা; আপনি সত্তর বার ওদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ্ ওদেরকে কখনই ক্ষমা করবেন না। এটা এ জন্যে যে, ওরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সাথে কুফরী করেছে। আল্লাহ্ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না।” (সূরা ৯-তাওবা: ৮০)

এ আয়াতে আল্লাহ সুস্পষ্ট বলেছেন যে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস আনেনি, কুফুরি করেছে, তাদের জন্য যেন রাসূলুল্লাহ ক্ষমা না চান। ঈসায়ী প্রচারকগণ সবটুকু না বলে শুধু বলেন: মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৭০ বার ক্ষমা চাইলেও আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। আপনি তাঁকে নিম্নের বিষয়গুলি বলুন:

(ক) এ আয়াত থেকে জানা যায়, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেঈমানদের জন্য দো‘আ করবেন না। তবে ঈমানদার পাপীদের জন্য দো‘আ করবেন এবং সে দো‘আ তাঁদের মুক্তি দিবে (৪-নিসা: ৬৪; ৯-তাওবা: ৯৯, ১০৩) কিন্তু ইঞ্জিল থেকে জানা যায় যে, যীশু তাঁর ঈমানদার ও কারামতধারী পাদরি ও প্রচারকদের জন্যও শাফায়াত করতে পারবেন না। তিনি বলেন: “যারা আমাকে ‘প্রভু প্রভু’ বলে তারা প্রত্যেকে যে বেহেশতী রাজ্যে ঢুকতে পারবে তা নয়। কিন্তু আমার বেহেশতী পিতার ইচ্ছা যে পালন করে সে-ই ঢুকতে পারবে। সেই দিন অনেকে আমাকে বলবে, ‘প্রভু প্রভু, তোমার নামে কি আমরা নবী হিসাবে কথা বলি নি? তোমার নামে কি ভূত ছাড়াই নি? তোমার নামে কি অনেক অলৌকিক কাজ করি নি? তখন আমি সোজাসুজিই তাদের বলব ‘আমি তোমাদের চিনি না। দুষ্টের দল! আমার কাছ থেকে তোমরা দূর হও।’ (মথি ৭/১৫-২৩)

(খ) তাঁর দু শিষ্যের মা তাঁর কাছে দাবি করেন যে, তার দুই ছেলে যেন তাঁর রাজ্যে তাঁর দুপাশে বসার অধিকার পায়। তিনি উত্তরে বলেন যে, তাঁর পাশে বসানোর ক্ষমতাও তাঁর নেই; বরং সকল ক্ষমতা আল্লাহর তিনি যাকে বসাবেন সেই বসবে: “যাহাদের জন্য আমার পিতা কর্তৃক স্থান প্রস্তুত করা হইয়াছে, তাহাদের ভিন্ন আর কাহাকেও আমার দক্ষিণ পার্শ্বে ও বাম পার্শ্বে বসিতে দিতে আমার অধিকার নাই।” (মথি ২০/২০-২৩) এভাবে প্রচলিত ইঞ্জিল শরীফ প্রমাণ করে যে, কারো জন্য কোনো সুপারিশ, দো‘আ বা শাফা‘আত করার অধিকার-ই ঈসা মাসীহের নেই।

(গ) আমরা বিশ্বাস করি যে, অন্যান্য নবী-রাসূলদের মত ঈসা (আঃ) ইস্রায়েল বংশের পাপী ঈমানদারদের জন্য সুপারিশ করবেন; সুপারিশ কবুল করা একান্তই আল্লাহর ইচ্ছা। তবে সাধু পল প্রতিষ্ঠিত ধর্মে ঈসা মাসীহের সুপারিশ ক্ষমতা খুবই সীমিত! কোনো ব্যক্তির খাৎনা বা মুসলমানি হলে মাসীহ আর তার কোনো উপকারই করতে পারবেন না! বরং তার জন্য তখন শরীয়ত পুরোপুরি মানা জরুরী হয়ে যাবে। আর শরীয়ত পালন অর্থই পাপ, অভিশাপ ও জাহান্নাম। ফলে খাতনাকৃত ব্যক্তির জন্য যীশুর প্রতি বিশ্বাস অর্থহীন! সাধু পল বলেন (if ye be circumcised, Christ shall profit you nothing) যদি তোমাদের খাৎনা করানো হয় তবে খৃস্ট তোমাদের কোনোই উপকার করবেন না।” (গালাতীয় ৫/২)খৃস্টান প্রচারকগণ বলেন: কুরআনে কোথাও নেই যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাপীদের শাফায়াত করবেন। কী ভয়ঙ্কর মিথ্যা! আল্লাহ বলেন: “যখন তারা নিজেদের প্রতি যুলুম করে তখন তারা আপনার কাছে আসলে ও আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে এবং রাসুলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইলে তারা অবশ্যই আল্লাহকে পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালুরূপে পাবে।” (সূরা ৩-নিসা: ৬৪) কাজেই দুনিয়াতে যে কোনো পাপী যদি ক্ষমাপ্রার্থনার চেতনা-সহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফাআাত প্রার্থনা করে এবং তিনি শাফা‘আত করেন তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। আর আখেরাতে তার সুপারিশের বিষয়টি বহু হাদীস দ্বারা প্রমাণিত[1]।

>
[1] অর্থাৎ দুনিয়াতে রাসূলের জীবদ্দশায় অপরাধ করে রাসূলের কাছে আসলে তিনি তাদের জন্য সুপারিশ করতেন, এটা কুরআন দ্বারা প্রমাণিত। আর আখেরাতে তিনি যে সুপারিশ করবেন এ ব্যাপারটি কোনো মুসলিম অস্বীকার করতে পারে না। তবে আখেরাতে সকল সুপারিশের অধিকারী হচ্ছেন আল্লাহ তা‘আলা। তিনি সুপারিশ করার জন্য যার জন্য ও যাকে ইলহাম করবেন তখন কেবল তিনিই সুপারিশ করবেন। [সম্পাদক]