ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ছিয়াম (রোযা) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
প্রশ্ন: (৪৪৩) শাবান মাসে সাওম রাখার বিধান কী?
উত্তর: শাবান মাসে সাওম রাখা এবং অধিক হারে রাখা সুন্নাত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন,مَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَان “শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো সময় আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এত বেশি সাওম রাখতে দেখি নি।”[1] এ হাদীস অনুযায়ী শাবান মাসে অধিকহারে সাওম রাখা উচিৎ।
বিদ্বানগণ বলেন, শাবান মাসে সাওম রাখা সুন্নাতে মুআক্কাদা সালাতের অনুরূপ। এ সাওম যেন রামাযান মাসের ভুমিকা। অর্থাৎ রামাযানের পূর্বের সুন্নাত সাওম। অনুরূপভাবে শাওয়ালের সাওম রামাযানের পরের সুন্নাতস্বরূপ। যেমন ফরয সালাতের আগে ও পরে সুন্নাত রয়েছে।তাছাড়া শাবান মাসে সাওমের উপকারিতা হচ্ছে, নিজেকে রামাযানের সাওম রাখার ব্যাপারে প্রস্তুত করা, সাওময় অভ্যস্ত করে তোলা। যাতে করে ফরয সাওম রাখা তার জন্য সহজসাধ্য হয়।[2]
[1] সহীহ বুখারী, অধ্যায়: সিয়াম, অনুচ্ছেদ: শাবানের সিয়াম।
[2] কিন্তু নির্দিষ্ট আকারে শুধুমাত্র মধ্য শাবানে অর্থাৎ ১৫ তারিখে সিয়াম রাখা বিদআত। আমাদের দেশে এটাকে শবে বরাতের সিয়াম বলা হয়। কেননা এর ভিত্তি সহীহ সুন্নাহ্ থেকে প্রমাণিত নয়। ইবনু মাজার বর্ণনায় বলা হয়ঃ “মধ্য শাবান এলে তোমরা রাত্রিতে ইবাদত করবে ও দিনে সিয়াম পালন করবে..।” এ হাদীসটি জাল। কেননা এর সনদে ইবনু আবী সাবরাহ্ নামক জনৈক বর্ণনাকারী রয়েছে। সে হাদীস জাল করত। (আহকামু রজব ওয়া শাবান।)- অনুবাদক।
[2] কিন্তু নির্দিষ্ট আকারে শুধুমাত্র মধ্য শাবানে অর্থাৎ ১৫ তারিখে সিয়াম রাখা বিদআত। আমাদের দেশে এটাকে শবে বরাতের সিয়াম বলা হয়। কেননা এর ভিত্তি সহীহ সুন্নাহ্ থেকে প্রমাণিত নয়। ইবনু মাজার বর্ণনায় বলা হয়ঃ “মধ্য শাবান এলে তোমরা রাত্রিতে ইবাদত করবে ও দিনে সিয়াম পালন করবে..।” এ হাদীসটি জাল। কেননা এর সনদে ইবনু আবী সাবরাহ্ নামক জনৈক বর্ণনাকারী রয়েছে। সে হাদীস জাল করত। (আহকামু রজব ওয়া শাবান।)- অনুবাদক।