উত্তর: একথা সবার জানা যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَ﴾ [البقرة: ١٨٥] فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمْ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ[
“কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের সাওম রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে নিবে।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৫] অতএব, এ লোকটি যখন শরী‘আত সম্মত দলীলের ভিত্তিতে সাওম ভঙ্গ করেছে, তখন আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নার্থে তা কাযা আদায় করা উচিৎ। পরবর্তী রামাযান আসার পূবেই উহা কাযা আদায় করা তার ওপর ওয়াজিব। কেননা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, ‘আমার রামাযানের কিছু সাওম বাকী রয়ে যেত। কিন্তু শাবান মাস না আসলে আমি তা কাযা আদায় করতে পারতাম না।’[1] আর তার কারণ ছিল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তাঁর ব্যস্ততা। সুতরাং আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর উক্ত বাণী থেকে প্রমাণিত হয় যে, পরবর্তী রামাযান আসার পূর্বে তা অবশ্যই কাযা আদায় করতে হবে।কিন্তু সে যদি পরবর্তী রামাযান পর্যন্ত দেরী করে এবং সাওমটি রয়েই যায়, তবে তার ওপর আবশ্যক হচ্ছে, আল্লাহর কাছে তাওবা ইস্তেগফার করা, এ শীথিলতার জন্য লজ্জিত অনুতপ্ত হওয়া এবং যত দ্রুত সম্ভব তা কাযা আদায় করে নেওয়া। কেননা দেরী করলে কাযা আদায় করার আবশ্যকতা রহিত হয়ে যায় না।