উত্তর: নিঃসন্দেহে এটি বিদ‘আত। সুন্নাতে নববীতে এর কোনো প্রমাণ নেই। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সম্মানিত কিতাবে বলেন,
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
“এবং প্রত্যুষে (রাতের) কাল রেখা হতে (ফজরের) সাদা রেখা প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর; অতঃপর রাত্রি সমাগম পর্যন্ত তোমরা সাওম পূর্ণ কর।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৭] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَنَّ بِلَالًا كَانَ يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُؤَذِّنَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ لَا يُؤَذِّنُ حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ»
“নিশ্চয় বেলাল রাত থাকতে আযান দেয়, তখন তোমরা খাও ও পান কর, যতক্ষণ না ইবন উম্মে মাকতূমের আযান শোন। কেননা ফজর উদিত না হলে সে আযান দেয় না।”[1] ফজর না হতেই খানা-পিনা বন্ধ করার জন্য লোকেরা সময় নির্ধারণ করে যে ক্যালেন্ডার তৈরি করেছে তা নিঃসন্দেহে আল্লাহর নির্ধারিত ফরযের ওপর বাড়াবাড়ী। আর এটা হচ্ছে আল্লাহর দীনের মাঝে অতিরঞ্জন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ هَلَكَ الْمُتَنَطِّعُونَ»
“অতিরঞ্জনকারীগণ ধ্বংস হোক। অতিরঞ্জনকারীগণ ধ্বংস হোক। অতিরঞ্জনকারীগণ ধ্বংস হোক।”[2]
[2] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ইলম, অনুচ্ছেদ: “অতিরঞ্জনকারীগণ ধ্বংস হোক।”