ইবন ‘আব্বাসরাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাথেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«أَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّ فَقَالَتْ: امْرَأَةٌ لِزَوْجِهَا أَحِجَّنِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَمَلِكَ، فَقَالَ: مَا عِنْدِي مَا أُحِجُّكِ عَلَيْهِ، قَالَتْ: أَحِجَّنِي عَلَى جَمَلِكَ فُلَانٍ، قَالَ: ذَاكَ حَبِيسٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي تَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ، وَإِنَّهَا سَأَلَتْنِي الْحَجَّ مَعَكَ، قَالَتْ: أَحِجَّنِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: مَا عِنْدِي مَا أُحِجُّكِ عَلَيْهِ، فَقَالَتْ أَحِجَّنِي عَلَى جَمَلِكَ فُلَانٍ، فَقُلْتُ: ذَاكَ حَبِيسٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَحْجَجْتَهَا عَلَيْهِ كَانَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ قَالَ: وَإِنَّهَا أَمَرَتْنِي أَنْ أَسْأَلَكَ مَا يَعْدِلُ حَجَّةً مَعَكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَقْرِئْهَا السَّلَامَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَبَرَكَاتِهِ، وَأَخْبِرْهَا أَنَّهَا تَعْدِلُ حَجَّةً مَعِي يَعْنِي عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ»
“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের (বিদায় হজ) ইচ্ছা পোষণ করলে জনৈকা মহিলা (উম্মে মা‘কাল) তার স্বামীকেবলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার নিকট এমন কোনো উট নেই, যার দ্বারা আমি তোমাকে হজে গমনের ব্যবস্থা করতে পারি।তখন সে স্ত্রীলোক বলেন, আমাকে আপনার অমুক উটের দ্বারা হজে প্রেরণের ব্যবস্থা করুন।জবাবে তিনি (স্বামী) বললেন, এটা (উক্ত উট) তো আল্লাহররাস্তায়জিহাদেরজন্য আবদ্ধ। তখন উক্ত ব্যক্তি (স্বামী) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে বলেন, আমার স্ত্রী আপনাকে সালাম বলেছেন। আর তিনি আমার নিকট আপনার সাথে হজে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছেন এবং বলেছেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে হজে গমনের ব্যবস্থা করে দিন। তখন আমি তাকে বলছি, আমার নিকট এমন কিছু নেই, যার দ্বারা আমি তোমাকে হজে পাঠাতে পারি। তখন সে বলেছে, আমাকে আপনার অমুক উষ্ট্রযোগেহজে প্রেরণ করুন। তখন আমি তাকে বলি, এ উট তো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য আবদ্ধ অর্থাৎ নির্ধারিত। এতদশ্রবণে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পক্ষ থেকে তাকে সালাম দেবে এবং বলবে, রমযানে উমরা পালন আমার সাথে হজের সওয়াবের সমতুল্য হবে।”[1]