ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জামা‘আতে সালাত আদায় [বিধান, ফযীলত, ফায়েদা ও নিয়ম-কানূন] জামা‘আত সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল ইসলামহাউজ.কম
নফল পড়ুয়ার পেছনে ফরয পড়ার বিধান:

আপনি তাহিয়্যাতুল-মাসজিদের সালাত অথবা কোনো নফল সালাত পড়ছেন এমতাবস্থায় কেউ এসে আপনাকে ইমাম বানিয়ে আপনার পেছনেই তার ফরয সালাতটুকু অথবা উক্ত নফলই জামা‘আতে পড়তে শুরু করলো তখন আপনি তাকে সরিয়ে দেবেন না। বরং তখন আপনি তার ইমাম বলেই বিবেচিত হবেন। আপনি আপনার সালাতটুকু ইমাম হিসেবে উচ্চ তাক্বীরেই পড়বেন। অতঃপর আপনার সালাত শেষে সে তার বাকি সালাতটুকু নিজেই পড়ে নিবে।

উপরোক্ত মু‘আয রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ইশার সালাতই তা জায়িয হওয়ার প্রমাণ বহন করে। কারণ, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পেছনে ইশার সালাত পড়ে আবার নিজ সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে তাদের ইশার সালাতের ইমামতি করতেন। এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কোনো বাধা দেন নি।

এ দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা কিছু সংখ্যক সাহাবীগণকে নিয়ে ভয়ের মুহূর্তে যোহরের সালাত দু’ রাকাত পড়ে সালাম ফিরালেন। অতঃপর তিনি আবার আরো কিছু সংখ্যক সাহাবীগণকে নিয়ে আরো দু’ রাকাত সালাত পড়ে সালাম ফিরান। এতে করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ বার যোহরের সালাত আদায় করলেন। তাঁর প্রথমকার সালাতটুকু ছিলো ফরয। আর দ্বিতীয়বারের সালাতটুকু ছিলো নফল। এতে বুঝা গেলো নফল পড়ুয়ার পেছনে ফরয সালাত পড়া যায়।[1]

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«بِتُّ عِنْدَ خَالَتِيْ مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْـحَارِثِ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَهَا فِي لَيْلَتِهَا فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيْ مِنْ اللَّيْلِ فَقُمْتُ أُصَلِّي مَعَهُ فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ فَأَخَذَ بِرَأْسِيْ فَأَقَامَنِيْ عَنْ يَمِينِهِ».

“আমি একদা আমার খালা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী মাইমূনাহ বিন্ত আল-হারিস-এর নিকট রাত্রি যাপন করেছি। সে রাত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতাঁর ঘরেই ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরাত্রি বেলায় সালাত আদায় করতে উঠলে আমিও তাঁর সাথে সালাত আদায়ের জন্য উঠলাম। অতঃপর আমি তাঁর বাঁয়েই দাঁড়ালাম। কিন্তু তিনি আমাকে আমার মাথা ধরে তাঁর ডানেই দাঁড় করিয়ে দিলেন”।[2]

>
[1] আবু দাউদ, হাদীস নং ১২৪৮

[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১৭, ৬৯৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৬৩।