ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশে নাস্তিকের সংখ্যা বরাবরই কম ছিল। এরা সংখ্যায় কম হলেও এদের প্রচার ও বুদ্ধিবৃত্তির বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিপরীতে অবস্থান নেবার দুঃসাহস দেখাতে পারছে। মূলত গেল শতাব্দীর শুরুভাগে রাশিয়ার কমিউনিজমে বিশ্বাসীরা এ দেশে নাস্তিকতার প্রসার ঘটিয়েছে। সারাবিশ্বে সমাজতন্ত্রের জয়জয়কারের সঙ্গে হাত ধরে সেক্যুলারিজম আর সেক্যুলারিজমের গর্ভ থেকেই নাস্তিক্যবাদ বা এইথিজমের উদ্ভব ও আগমন। সমাজতন্ত্রের যৌবনে এরা প্রধানত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তাদের মতবাদ প্রচার করতে শুরু করে।
সমস্যা জর্জরিত সদ্য স্বাধীন অভাবী বাংলাদেশে এরা সহজেই তাদের সাম্যের মুখরোচক শ্লোগানে তরুণ সমাজকে মুগ্ধ করে। সমাজতন্ত্রের পতনের পর এরা পরিবর্তিত বাস্তবতায় নিজেদের ভোল পাল্টাতে থাকলেও সাবেকি ধর্মবিদ্বেষ তথা ইসলামবিদ্বেষের ধারা ঠিকই বজায় রাখে। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যর্থ হওয়ায় এরা সেটাকে ধর্মের বিরোধিতায় কাজে লাগায়। সিংহভাগ ঈমানদার নারী-পুরুষের আত্মোৎসর্গের বদৌলতে পাওয়া অত্যাচারী ও অবিবেচক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয়কে এরা ইসলামের বিরুদ্ধে বিজয় হিসেবে চালাবার অপকৌশল গ্রহণ করে।