বর্তমানে যেসব জিনিস দ্বারা আমাদের শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে তন্মধ্যে একটি হলো, তাদের উদ্ভাবিত নানা ডিজাইনের পোশাক-পরিচ্ছদের সাহায্যে তারা মুসলিমদের চরিত্র ধ্বংসের কঠিন অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। পোশাকগুলোর কতক খুবই খাট মাপের, কতক আঁটসাঁট করে তৈরি, আবার কতক এত পাতলা যে তা দিয়ে শরীরের সব অঙ্গ দেখা যায়। ফলে পোশাক পরার আসল লক্ষ্য সতর ঢাকা হয় না। এসব পোশাকের অনেক ডিজাইন পরিধান করা মোটেও বৈধ নয়। এমনকি মহিলাদের মাঝে এবং মাহরাম পুরুষদের মাঝেও নয়।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُونَ بِهَا النَّاسَ، وَنِسَاءٌ كَاسِيَاتٌ عَارِيَاتٌ مُمِيلَاتٌ مَائِلَاتٌ، رُءُوسُهُنَّ كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ الْمَائِلَةِ، لَا يَدْخُلْنَ الْجَنَّةَ، وَلَا يَجِدْنَ رِيحَهَا، وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ كَذَا وَكَذَا»
“দু’শ্রেণির জাহান্নামীকে আমি দেখি নি। প্রথম শ্রেণি যাদের হাতে থাকবে গরুর লেজের ন্যায় ছড়ি, তা দ্বারা তারা লোকদেরকে প্রহার করবে। দ্বিতীয় শ্রেণি ঐ সকল নারী, যারা বস্ত্র পরিহিতা অথচ উলঙ্গ, পুরুষদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্টকারিণী এবং নিজেরাও পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট। তাদের মাথা হবে লম্বা গ্রীবা বিশিষ্ট উটের চুঁটির ন্যায়। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধি এত এত দূরত্ব থেকেও পাওয়া যাবে”।[1] হাদীসে উল্লেখিত ‘বুখত’ বলতে বুঝায় লম্বা ঘাড়বিশিষ্ট উটকে।
যে সকল মহিলা নিচের দিকে বা অন্যান্য দিকে দীর্ঘ ফাঁড়া পোশাক পরিধান করে তারাও উক্ত হাদীসের বিধানভুক্ত হবে। এগুলো পরে বসলে তাদের সতরের অংশবিশেষ প্রকাশ হয়ে পড়ে। এতে সতর প্রকাশের পাশাপাশি কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য, তাদের কৃষ্টি-কালচারের অন্ধ অনুকরণ ও তাদের উদ্ভাবিত অশালীন পোশাকের অনুসরণ করা হয়।কোনো কোনো পোশাকে আবার অশালীন ছবিও অঙ্কিত থাকে। যেমন, গায়কদের ছবি, বাদক দলের ছবি, মদপাত্রের ছবি, প্রাণীর ছবি, ক্রুশের ছবি, অবৈধ সংস্থা ও ক্লাবের ছবি ইত্যাদি। অনেক পোশাকে মান-ইজ্জত বিনষ্টকারী কথাও লিখা থাকে। বিদেশী ভাষাতেও এসব লিখা থাকে। এ জাতীয় পোশাক পরিহার করা আবশ্যক।
>