যখন মানুষের মন থেকে আল্লাহভীতি উঠে যায় তখন তার শক্তি, বুদ্ধি সবই তার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। সে এগুলোকে নির্বিচারে যুলুম-নিপীড়নে ব্যবহার করে। যেমন শক্তির বলে অন্যের সম্পদ কুক্ষিগত করা। ভূমি জবরদখল এরই একটি অংশ। এর পরিণাম খুবই মারাত্মক। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ أَخَذَ مِنَ الْأَرْضِ شَيْئًا بِغَيْرِ حَقِّهِ خُسِفَ بِهِ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَى سَبْعِ أَرَضِينَ»

‘যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো জমির কিয়দংশ জবরদখল করবে, কিয়ামত দিবসে এজন্য তাকে সপ্ত যমীন পর্যন্ত পূঁতে দেওয়া হবে”।[1]

ইয়া‘লা ইবন মুররাহ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«أَيُّمَا رَجُلٍ ظَلَمَ شِبْرًا مِنَ الْأَرْضِ،كَلَّفَهُ اللَّهُ أَنْ يَحْفِرَهُ (وفي الطبراني: يحضره) حَتَّى يَبْلُغَ سَبْعَ أَرَضِينَ، ثُمَّ يُطَوَّقُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حَتَّى يَفْصِلَ بَيْنَ الناس»

‘যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ জমি জবরদখল করবে আল্লাহ তাকে যমীনের সপ্ত স্তর পর্যন্ত তা খনন করতে বাধ্য করবেন। (ত্বাবরানীর বর্ণনায়, ‘তা উপস্থিত করতে বাধ্য করবেন’ বলা হয়েছে) অতঃপর কিয়ামত দিবসে তা তার গলায় বেড়ী করে রাখা হবে, যে পর্যন্ত না মানুষের মাঝে বিচারকার্য শেষ হয়”।[2]

জমির সীমানা বা আইল পরিবর্তন করাও এ হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে। এ সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لَعَنَ اللهُ مَنْ غَيَّرَ مَنَارَ الْأَرْضِ»

‘যে ব্যক্তি জমির নিশানা বা আইল পরিবর্তন করে আল্লাহ তার ওপর অভিসম্পাত করন”।[3]

>
[1] সহীহ বুখারী; মিশকাত, হাদীস নং ২৯৫৮।

[2] মুসনাদে আহমদ; মিশকাত, হাদীস নং ২৯৬০, সনদ সহীহ।

[3] সহীহ মুসলিম; মিশকাত, হাদীস নং ৪০৭০।