কোনো বাধা-বিপত্তির কারণে নয় বরং এমনিতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম যে সকল ‘আমল ও ইবাদাত থেকে বিরত থেকেছিলেন, পরবর্তীতে তার উম্মাতের কেউ যদি সে ‘আমল করে, তবে তা শরী‘আতে বিদ‘আত হিসেবে গণ্য হবে।
কেননা তা যদি শরী‘আতসম্মত হত তাহলে তা করার প্রয়োজন বিদ্যমান ছিল। অথচ কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়াই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম সে ‘আমল বা ইবাদাত ত্যাগ করেছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ‘আমলটি শরী‘আতসম্মত নয়। অতএব, সে ‘আমল করা যেহেতু আর কারো জন্য জায়েয নেই, তাই তা করা হবে বিদ‘আত।
উদাহরণ:
১। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ও জুমা‘ ছাড়া অন্যান্য সালাতের জন্য ‘আযান দেওয়া। উপরোক্ত নীতির আলোকে বিদ‘আত বলে গণ্য হবে।
২। সালাত শুরু করার সময় মুখে নিয়তের বাক্য পড়া। যেহেতু রাসূলুল্লঅহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম ও সাহাবীগণ এরূপ করা থেকে বিরত থেকেছিলেন এবং নিয়ত করেছিলেন শুধু অন্তর দিয়ে, তাই নিয়তের সময় মুখে বাক্য পড়া বিদ‘আত বলে গণ্য হবে।
৩। বিপদাপদ ও ঝড়-তুফান আসলে ঘরে আযান দেওয়াও উপরোক্ত নীতির আলোকে বিদ‘আত বলে গণ্য হবে। কেননা বিপদাপদে কী পাঠ করা উচিৎ বা কী ‘আমল করা উচিৎ তা হাদীসে সুন্দরভাবে বর্ণিত আছে।
৪। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লামের জন্মোৎসব পালনের জন্য কিংবা আল্লাহর কাছে সাওয়াব ও বরকত লাভের প্রত্যাশায় অথবা যে কোনো কাজে আল্লাহর সাহায্য লাভের উদ্দেশে মিলাদ পড়া উপরোক্ত নীতির আলোকে বিদ‘আত বলে গণ্য হবে।