আর কবর স্পর্শ করা, সেটা যার কবরই হোক না কেন, আর কবরকে চুম্বন করা ও তাতে গালের পার্শ্বদেশ লাগানো সকল মুসলিমদের ঐকমত্যে নিষেধ করা হয়েছে। যদিও তা কোনো নবীর কবরই হোক না কেন। আর এই উম্মাতের পূর্বসূরী ও ইমামগণের কেউ এটা করেন নি, বরং এটা শির্কের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقَالُواْ لَا تَذَرُنَّ ءَالِهَتَكُمۡ وَلَا تَذَرُنَّ وَدّٗا وَلَا سُوَاعٗا وَلَا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسۡرٗا ٢٣ وَقَدۡ أَضَلُّواْ كَثِيرٗاۖ ٢٤﴾ [نوح: ٢٣، ٢٤]
“আর তারা বলেছে, ‘তোমরা কখনো পরিত্যাগ করো না তোমাদের উপাস্যদেরকে; পরিত্যাগ করো না ওয়াদ, সুওয়া‘আ, ইয়াগূছ, ইয়া‘ঊক ও নাসরকে। ‘বস্তুত তারা অনেককে বিভ্রান্ত করেছে”। [সূরা নূহ, আয়াত: ২৩-২৪]
আর পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছে যে, এসব নূহ আলাইহিস সালামের সম্প্রদায়ের সৎর্কমপরায়ন ব্যক্তিদের নাম। আর তারা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঐসব কবরের উপর অবস্থান করেছিল। অতঃপর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর তারা সেসবের মূর্তি বানালো। বিশেষ করে যখন তারা এসবের সাথে মৃতের কাছে দো‘আ ও তার মাধ্যমে উদ্ধার প্রার্থনাকে যোগ করলো। পূর্বেই এসম্পর্কে বর্ণনা অতিবাহিত হয়েছে এবং সেখানে যে শির্ক রয়েছে তারও বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এবং (বিদ‘আতী যিয়ারত) যা খৃস্টানদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও (শর‘ঈ যিয়ারতের) পার্থক্য স্পষ্ট করা হয়েছে।