আর অবশ্যই আমরা জানি যে, শির্কের মাধ্যমসমূহের অন্যতম হলো এমন মসজিদে সালাত আদায় করা যেখানে কবর রয়েছে আর সেখানে সালাত আদায় বাতিল বলে গণ্য হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لعن الله اليهود والنصارى اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد»

“আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অভিসম্পাত দিয়েছেন। (কারণ) তারা তাদের নবীগণের কবরসমূহকে মসজিদ বানিয়েছে।” ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহ. আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে তা বর্ণনা করেছেন।[1]আর তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবরকে দলিল মনে করা যাবে না। কেননা তাঁকে (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে) তাঁর গৃহে দাফন করা হয়েছে। আর তার গৃহ মসজিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা তাঁকে তাঁর গৃহের সে স্থানে দাফন করা হয়েছে যে স্থানে তাঁর মৃত্যু হয়েছে আর প্রত্যেক নবী যেখানে মারা যান সেখানে তাকে দাফন করতে হয়। যেমনটি সহীহ হাদীসেসমুহে বর্ণিত হয়েছে। আর অনুরূপভাবে আবু বকর, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাকে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কক্ষে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে দাফন করা হয়েছে। তাই উচিৎ হলো এই সন্দেহ-সংশয় থেকে সাবধান থাকা। কেননা তা অন্তরে সংশয়ের সৃষ্টি করে।

>
[1] দেখুন, শাইখ আলবানী রচিত সহীহুল জামে‘ ১/৯০৯