আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রবৃত্তিকে পরিহার করা (যদিও তা আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি দেয় এবং তাঁর রহমত লাভের দ্বারা সফলতা অত্যাবশ্যকীয় করে) আল্লাহর ভাণ্ডার, সৎকাজের ভাণ্ডার, ভালোবাসার স্বাদ, তাঁর প্রতি আসক্তি, তাঁকে নিয়ে আনন্দিত ও খুশি হওয়া ইত্যাদি যার অন্তর অন্যের সাথে সম্পৃক্ত তার অন্তরে অর্জিত হয় না, যদিও সে ইবাদতকারী, আত্মশুদ্ধি অর্জনকারী ও ইলমের অধিকারী। কেননা যার অন্তরে তিনি ব্যতীত অন্যের স্থান রয়েছে এবং যার হিম্মত অন্যের সাথে সম্পৃক্ত তার অন্তরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা তাঁর ভাণ্ডার প্রদান করেন না। যার অন্তর আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত হওয়াতে দরিদ্রতাকে ধন-ঐশর্য্য মনে করেন, তিনি ব্যতীত অন্যের সাথে সম্পৃক্ত হওয়াকে প্রকৃত দরিদ্রতা মনে করেন, তিনি ব্যতীত অন্যের সম্মানকে বে-ইজ্জতি মনে করেন, তাঁর অপমানকে ইজ্জত মনে করেন, তিনি ব্যতীত অন্যের নি‘আমতকে আযাব মনে করেন, আর তাঁর সাথে থাকলে আযাবকে নি‘আমত মনে করেন।
মূলকথা, বান্দা আল্লাহ ব্যতীত তার জীবন-মরন কিছুই কল্পনা করতে পারে না, তিনি ব্যতীত সবকিছুতে দুঃখ-কষ্ট, দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা মনে করেন। এ ধরণের বান্দার জন্য হয়েছে দু’টি জান্নাত। একটি দুনিয়াতে তাৎক্ষণিক আরেকটি কিয়ামতের দিন।