কেউ কেউ মনে করেন, যিকিরকারীগণ প্রথমে মুখে যিকির শুরু করে, এভাবে মুখে যিকির করতে করতে অবচেতনেও মুখে যিকির করতে থাকে। অত:পর, এভাবে যিকির চলতে থাকে, এমনকি তার অন্তরে যিকির চালু হয়ে যায়।
আবার কেউ মনে করেন, এভাবে অন্তরে যিকির জারি হয় না এবং অবচেনত অবস্থায়ও যিকির শুরু হয় না; বরং সে ভাব-গম্ভীরভাবে থাকে তখন তার অন্তরে যিকির চালু হয়। অতএব, সে শুরুতে অন্তরের দ্বারা যিকির শুরু করে, যখন অন্তরে তা শক্তিশালী হয় তখন জবান তা অনুসরণ করে এবং তখন অন্তরে ও জবানে একত্রে যিকির জারি হয়ে যায়।
অতএব, প্রথম প্রকারে যিকির ব্যক্তির জবান থেকে অন্তরে চালু হয়। আর দ্বিতীয় প্রকারের যিকির অন্তর থেকে জবানে জারি হয়, তবে তা অন্তরের থেকে খালি হয় না; বরং প্রথমে জবানে প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর শান্ত থাকে। অতঃপর অন্তরে তা গভীর গেঁথে যায়, তখন সে সব কিছুতে আল্লাহর যিকির অনুভব করে।
সর্বোত্তম ও সর্বাধিক উপকারী যিকির হলো যেখানে অন্তর জবানের সাথে একত্রিত হয়। এটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যিকির, এতে যিকিরকারী যিকিরের অর্থ ও উদ্দেশ্য অবনুভব করে।