মানুষের অর্জিত দিরহাম বা অর্থকড়ি চার ধরণের।
১. যে দিরহাম আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে (সৎভাবে) এবং আল্লাহর হক আদায়ে ব্যয় করা হয়েছে, সে সব দিরহাম হচ্ছে সর্বোত্তম দিরহাম।
২. যা আল্লাহর অবাধ্যতা ও নাফরমানীর মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে এবং আল্লাহর নাফরমানীতে ব্যয় করা হয়েছে তা হচ্ছে সর্বনিকৃষ্ট দিরহাম।
৩. যে দিরহাম মুসলিমকে কষ্ট দিয়ে অর্জিত হয়েছে এবং মুসলিমকে কষ্ট দেওয়ার কাজে ব্যয় করা হয় তাও নিকৃষ্ট দিরহাম।
৪. আর যেসব দিরহাম জায়েয পন্থায় অর্জন করে জায়েয প্রবৃত্তির কাজে ব্যয় করা হয়েছে তা ব্যক্তির উপকারেও আসে নি বা তার বিপক্ষেও যায় নি।
এগুলো হলো অর্থকড়ির মানদণ্ড। এ ছাড়াও কয়েক ধরণের দিরহাম রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে: কিছু দিরহাম সৎভাবে অর্জিত হয়েছে; কিন্তু অন্যায় পথে ব্যয় হয়েছে, আবার কিছু দিরহাম অন্যায়ভাবে অর্জিত হয়েছে; কিন্তু সৎপথে ব্যয় হয়েছে। এ ধরণের অর্জন ও ব্যয় একটি অন্যটির কাফফারা স্বরূপ। যে দিরহাম সন্দেহ-সংশয়ের পথে অর্জিত হয় সেটির কাফফারা হলো সৎপথে ব্যয় করা।
অর্থকড়ি ব্যয়ের সাথে যেভাবে সাওয়াব, শাস্তি, প্রশংসা ও নিন্দা সম্পৃক্ত তেমনি সেগুলো উপার্জনের সাথেও এসব দোষ-গুণ জড়িত। ব্যক্তি কোথা থেকে অর্থ উপার্জন করেছে এবং কোন পথে ব্যয় করেছে সব কিছুই জিজ্ঞাসিত হবে।