আল্লাহর পরিচয় দু’ধরণের।
প্রথম প্রকার: তাঁকে স্বীকার করার জ্ঞান; এ প্রকারের পরিচয় লাভের ক্ষেত্রে ভালো-মন্দ, বাধ্য-অবাধ্য সকলেই সমান।
দ্বিতীয় প্রকার: তাঁর এমন পরিচয় লাভ যা তাঁর থেকে লজ্জাবোধ, তাঁর ভালোবাসা, তাঁর সাথে অন্তর সম্পৃক্ত থাকা, তাঁর সাথে মিলিত হতে অধীর আগ্রহে থাকা, তাঁকে ভয় করা, তাঁর দিকে বিনীতভাবে ফিরে যাওয়া, তাঁর প্রতি বিনয়ী হওয়া এবং সৃষ্টির কাছে কিছু চাওয়া থেকে বিরত থেকে তাঁর কাছেই চাওয়া ইত্যাদির জ্ঞান অত্যাবশ্যকীয় করে।
আল্লাহর এ ধরণের পরিচয় লাভ দু’টি প্রশস্ত অধ্যয়ে বিভক্ত।
প্রথম অধ্যয়: সামগ্রিকভাবে কুরআনের সব আয়াত নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা করা, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিশেষভাবে চেনা ও জানা।
দ্বিতীয় অধ্যয়: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাক্ষ্য বহনকারী বিশেষ আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা, এর অন্তর্নিহিত আল্লাহর হিকমত, তাঁর কুদরত, সূক্ষ্মতা, ইহসান, ন্যায়পরায়ণতা এবং সৃষ্টির প্রতি তাঁর ন্যায় বিচার ইত্যাদি নিয়ে গভীর চিন্তা-গবেষণা করা।
এসব কিছুর সারনির্যাস হলো আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ, তাঁর মহত্ব, পূর্ণতা, এসব গুণে তাঁর এককত্ব ইত্যাদি গভীরভাবে অনুধাবন করা। সৃষ্টির সাথে তাঁর সম্পর্ক ও তাদের প্রতি তাঁর আদেশ-নিষেধ গভীরভাবে বুঝা, এতে সে তাঁর আদেশ ও নিষেধসমূহ সম্পর্কে ফকীহ তথা গভীর জ্ঞানের অধিকারী হবে, তাঁর ফয়সালা ও কুদরত সম্পর্কে ফকীহ হবে, তাঁর নাম ও সিফাতসমূহ সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী হবে, দীনি ও শর‘ঈ বিধান এবং বৈশ্বিক ও মানব রচিত বিধানের মধ্যকর পার্থক্য গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবে। এ সব জ্ঞান লাভ করা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে এ অনুগ্রহ দান করেন। আল্লাহ মহান অনুগ্রহদাতা।