প্রত্যেক ব্যক্তি জিনিসের স্বাদ তার অবস্থা, হিম্মত ও নফসের সম্মানবোধ অনুসারে আস্বাদন করে থাকে। আত্মার দিক থেকে সর্বাধিক উত্তম আত্মা, সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ হিম্মত এবং সর্বোচ্চ মর্যাদাবান আত্মা হলো যে আত্মা আল্লাহর জ্ঞান লাভ করতে পেরেছে, তাঁর ভালোবাসার স্বাদ আস্বাদন করেছে, তাঁর সাথে মিলাত হতে পাগলপনা হয়েছে, তিনি যা ভালোবাসেন ও যেসব কাজে তিনি সন্তুষ্ট থাকেন সেসব কাজ করতে সে সর্বদা উদগ্রীব থাকে। তার স্বাদই হচ্ছে তাঁর (আল্লাহর) কাছে যাওয়া, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা এবং তার হিম্মত হচ্ছে তাঁকে পেতে ঝাঁপিয়ে পড়া।
উপরোক্ত স্বাদের উপরোক্ত স্তর ছাড়াও আরো কতগুলো স্তর আছে, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ হিসেব করতে পারবে না; এমনকি কিছু মানুষের এমন নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম জিনিসের স্বাদ আছে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায়। তার কাছে যদি উক্ত স্বাদের জিনিসটি শুরুতে পেশ করা হয় তাহলে সে নিজের জন্য তা গ্রহণ করবে না; এমনকি সেদিকে তাকাবেও না।
রুচির বিবেচনায় সবচেয়ে পরিপূর্ণ ও উত্তম মানুষ সে ব্যক্তি যার অন্তর, রূহ ও শরীরের মধ্যে সব হালাল জিনিস একত্রিত হয়েছে যা তাকে তার আখিরাতের অংশকে ঘাটতি করে না, তার রবকে জানা ও তাঁর অনুগ্রহ প্রাপ্তির স্বাদকে বিছিন্ন করে না। তাদের সম্পর্কেই আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿قُلۡ هِيَ لِلَّذِينَ ءَامَنُواْ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا خَالِصَةٗ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ٣٢ ﴾ [الاعراف: ٣٢]
“বলুন, তা (সৌন্দর্যোপকরণ) দুনিয়ার জীবনে মুমিনদের জন্য, বিশেষভাবে কিয়ামত দিবসে।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৩২]
যার রুচি আখিরাতের সুখ-শান্তি প্রাপ্তিতে বাধা দেয় তার রুটিই হচ্ছে সর্বনিকৃষ্ট রুটি। দুনিয়ার জীবনে তাদের সুখ সামগ্রীগুলো নিঃশেষ হওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿أَذۡهَبۡتُمۡ طَيِّبَٰتِكُمۡ فِي حَيَاتِكُمُ ٱلدُّنۡيَا وَٱسۡتَمۡتَعۡتُم بِهَا٢٠ ﴾ [الاحقاف: ٢٠]
“(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তোমাদের দুনিয়ার জীবনে তোমাদের সুখ সামগ্রীগুলো নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ।” [সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ২০]