যেসব আলিম দুনিয়াকে প্রধান্য দেয় ও ভালোবাসে তাকে অবশ্যই তার ফাতওয়া ও বিচার কাজে এবং আল্লাহ প্রদত্ত সংবাদ ও তা গ্রহণে অত্যাকশ্যকীয়তার ব্যাপারে আল্লাহর সম্পর্কে অসত্য কথা বলতে হবে। কেননা রবের অনেক হুকুম মানুষের প্রবৃত্তির বিপরীত। বিশেষ করে যারা ক্ষমতাধর ও শাসক এবং খাম-খেয়ালীর অনুসরণ করে তারা হকের বিপরীত কাজ করা ব্যতীত স্বীয় উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সক্ষম হবে না।
আলেম ও শাসক যখন নেতৃত্বকে ভালোবাসে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তখন হকের বিপরীত কাজ করা ব্যতীত এদুটি অর্জন হবে না। বিশেষ করে যখন কোনো কাজে সত্য-মিথ্যার সংশয় থাকে তখন তার সংশয়ের সাথে প্রবৃত্তি একত্রিত হয় এবং খাম-খেয়ালী-পনা প্রধান্য লাভ করে। ফলে সত্য লুকায় এবং হককে বিলুপ্ত করে, যদিও সত্যটি প্রকাশ্য থাকে এবং এতে অস্পষ্টতা ও সংশয় থাকে না। তথাপি সে সত্যের বিপরীত করতে অগ্রগামী হয় এবং বলে তাওবার মাধ্যমে আমার বাচাঁর উপায় আছে। এ ধরণের লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿فَخَلَفَ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ خَلۡفٌ أَضَاعُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَٱتَّبَعُواْ ٱلشَّهَوَٰتِ٥٩﴾ [مريم: ٥٩]
“তাদের পরে আসল এমন এক অসৎ বংশধর যারা সালাত বিনষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করল।” [সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৫৯] আল্লাহ তাদের সম্পর্কে আরও বলেছেন,
﴿فَخَلَفَ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ خَلۡفٞ وَرِثُواْ ٱلۡكِتَٰبَ يَأۡخُذُونَ عَرَضَ هَٰذَا ٱلۡأَدۡنَىٰ وَيَقُولُونَ سَيُغۡفَرُ لَنَا وَإِن يَأۡتِهِمۡ عَرَضٞ مِّثۡلُهُۥ يَأۡخُذُوهُۚ أَلَمۡ يُؤۡخَذۡ عَلَيۡهِم مِّيثَٰقُ ٱلۡكِتَٰبِ أَن لَّا يَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلۡحَقَّ وَدَرَسُواْ مَا فِيهِۗ وَٱلدَّارُ ٱلۡأٓخِرَةُ خَيۡرٞ لِّلَّذِينَ يَتَّقُونَۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ١٦٩﴾ [الاعراف: ١٦٨]
“অতঃপর তাদের পরে স্থলাভিষিক্ত হয়েছে এমন বংশধর যারা কিতাবের উত্তরাধিকারী হয়েছে, তারা এ নগণ্য (দুনিয়ার) সামগ্রী গ্রহণ করে এবং বলে, ‘শীঘ্রই আমাদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে’। বস্তুত যদি তার অনুরূপ সামগ্রী (আবারও) তাদের নিকট আসে তবে তারা তা গ্রহণ করবে। তাদের কাছ থেকে কি কিতাবের অঙ্গীকার নেওয়া হয়নি যে, তারা আল্লাহর ব্যাপারে সত্য ছাড়া বলবে না? আর তারা এতে যা আছে, তা পাঠ করেছে এবং আখিরাতের আবাস তাদের জন্য উত্তম, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে। তোমরা কি বুঝ না?” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৬৮]