যখন কোনো বান্দা সকাল ও সন্ধ্যায় উপনীত হয় (তার অন্তরে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোনো চিন্তা না থাকে) তখন আল্লাহ তা‘আলা তার সমস্ত প্রয়োজনের দায়িত্বভার নিয়ে নেন, সে যেসব ব্যাপারে চিন্তা করে তা তার থেকে দূরীভূত করে দেন, তার অন্তরকে তিনি শুধু তাঁর ভালোবাসার জন্য, জবানকে তাঁর যিকিরের জন্য এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে তাঁর আনুগত্যের জন্য খালি করে দেন। আর যদি সে এমন অবস্থায় সকাল ও সন্ধ্যা করে যে, দুনিয়াই তার সকল চিন্তা-ভাবনার কেন্দ্রবিন্দু, তখন আল্লাহ তার ওপর দুনিয়ার দুশ্চিন্তা, দুঃখ-বেদনা ও কষ্ট-ক্লেশ চাপিয়ে দেন এবং তিনি তাকে নিজের ওপর ন্যস্ত করে দেন। ফলে তার অন্তর আল্লাহর ভালোবাসা ছিন্ন হয়ে সৃষ্টির ভালোবাসায় ব্যস্ত হয়ে যায়, তার জবান আল্লাহর যিকির বাদ দিয়ে সৃষ্টিকুলের যিকির করে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাঁর আনুগত্য না করে সৃষ্টির খিদমত ও কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمَن يَعۡشُ عَن ذِكۡرِ ٱلرَّحۡمَٰنِ نُقَيِّضۡ لَهُۥ شَيۡطَٰنٗا فَهُوَ لَهُۥ قَرِينٞ٣٦﴾ [الزخرف: ٣٦]
“আর যে রহমানের (পরম করুণাময় আল্লাহর) যিকির থেকে বিমুখ থাকে আমরা তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী।” [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৩৬]