সুখ-শান্তি ভালোবাসার অনুগামী। ভালোবাসার শক্তিতে সুখ শক্তিশালী হয় এবং ভালোবাসার দুর্বলতায় সুখ দুর্বল হয়। ভালোবাসার টান ও আকাঙ্ক্ষা যত শক্তিশালী হবে সুখের স্বাদও তত শক্তিশালী ও পরিপূর্ণ হবে। অন্যদিকে ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষা (যাকে ভালোবাসবে, যার সাথে সাক্ষাতের আশা করবে তার) পরিচিতি লাভ ও জানার অনুগামী হয়। (যাকে ভালোবাসবে তার সম্পর্কে) জ্ঞান যত বেশি লাভ করবে তার ভালোবাসা তত পূর্ণতা পাবে। অতএব, পূর্ণ নি‘আমত যেমন আখিরাতে লাভ হবে, তেমনি পরিপূর্ণ স্বাদ-সুখ পূর্ণ জ্ঞানলাভ ও ভালোবাসার মাধ্যমে অর্জিত হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর, তাঁর নামসমূহ ও সিফাতের ওপর ঈমান আনয়ন করেছে, এর দ্বারাই সে আল্লাহর পরিচিতি লাভ করেছে সেই তাকে সর্বাধিক ভালোবাসতে পেরেছে। আর তাঁর কাছে পৌঁছা, তাঁর নিকটবর্তী হওয়া, তাঁর চেহারা দেখা ও তাঁর কথা শোনার স্বাদ সে পূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।
তার রবের পরিচিতি লাভের এ মহান নি‘আমতের তুলনায় অন্য সকল সুখ, নি‘আমত, আনন্দ ও প্রফুল্লতা সমুদ্রের এক ফোটা পানির তুল্য। সুতরাং যার সামান্যতম জ্ঞান আছে সে মহাকালের চিরস্থায়ী সুখের ওপর কীভাবে ক্ষণস্থায়ী, নগণ্য ও দুঃখ-কষ্ট সম্পন্ন সুখকে প্রধান্য দিবে?!
বান্দার পূর্ণতা কেবল ইলম ও ভালোবাসা এ দু’শক্তি অনুযায়ীই নির্ধারিত হয়। আর সর্বোত্তম ইলম হলো আল্লাহকে জানার জ্ঞান এবং সর্বোচ্চ ভালোবাসা হলো তাঁকে ভালোবাসা। এ দুয়ের পূর্ণতা অনুসারে ব্যক্তির সুখের পূর্ণতা লাভ হয়। আল্লাহই একমাত্র সাহায্যকারী।