যখনই আমি চিন্তা করলাম এ বিষয়টি নিয়ে লেখার ব্যাপারে, তখন আমি ভাবলাম এ ভুল-ভ্রান্তিসমূহের বর্ণনা-পদ্ধতি নিয়ে, অতঃপর সিদ্ধান্ত নিলাম যে, গবেষণাটি দু’টি পদ্ধতির বাইরে না যাওয়াটাই উচিৎ হবে।

প্রথম পদ্ধতি:

হাজী সাহেব সংশ্লিষ্ট, তার দেশ থেকে শুরু করে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত। সুতরাং আমি শুরু করব হাজী সাহেব কর্তৃক তার শহরে অবস্থান করা থেকে এবং তাতে বিদ্যমান বিদ‘আতসমূহ দ্বারা তার প্রভাবিত হওয়া নিয়ে।

অতঃপর ‘হারামাইন’-এর দেশের উদ্দেশ্যে তার সফর এবং তার শহর থেকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারত করার নিয়ত করা...

অতঃপর তার মক্কায় প্রবেশ, তার হজ আদায়ের পদ্ধতি এবং তাতে যেসব বিদ‘আত রয়েছে; আর কা‘বার গেলাফ, তার পাথরসমূহ, মাকামে ইবরাহীম ও হারামের যমীনের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং এসব ব্যাপারে তার আকীদা-বিশ্বাস।

অতঃপর তার দ্বারা হজের পবিত্র স্থানসমূহ ভ্রমণ এবং সেখানকার মাটি, পাথর ও গাছসমূহ দ্বারা বরকত হাসিল করা।

অতঃপর হজ শেষ করার পর তার দ্বারা কিছু ঐতিহাসিক স্থানের উদ্দেশ্যে গমন করা। যেমন, বরকত অর্জনের উদ্দেশ্যে হেরা গুহা ও সাওর গুহায় গমন।

অতঃপর তার ‘মাদীনায়ে নববী’-তে গমন করা, কবর শরীফ যিয়ারত করা এবং এ ক্ষেত্রে যেসব বিদ‘আত ও বিভ্রান্তি চলছে।

অতঃপর কিছু হাদিয়া নিয়ে অথবা ব্যাগভর্তি মক্কার বা মদীনার মাটি নিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা...

তবে এখানে এমন কিছু আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিও আলোচিত হয়েছে, যা কোনো নির্ধারিত স্থানের সাথে সুনির্দিষ্ট নয়। যেমন, তাবিজ-কবচ পরিধান করা, ওলীগণের নিকট প্রার্থনা করা এবং বিদ‘আতপূর্ণ দো‘আ বা অযীফা পাঠ করা...

আর এভাবে আমি হাজী সাহেবের সাথে এক পা এক পা করে চলতে থাকব তার হজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে তাকে আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিগুলোর ব্যাপারে সতর্ক ও সাবধান করতে করতে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি:

এক জাতীয় বিষয়গুলো একটি জায়গায় একত্রিত করা। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ আমি কবরসমূহ (নবীসাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর, বাকী কবরাস্থান এবং ওহুদের শহীদগণের কবরাস্থান) যিয়ারত করার উদ্দেশ্য সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অধ্যায়ে একত্রিত করব, বিভিন্ন প্রকার প্রতীক ও নিদর্শনের দ্বারা বরকত হাসিল সম্পর্কিত বিষয়গুলো এক জায়গায় একত্রিত করব, আর প্রভাবশালী বিশেষ মসজিদসমূহের (মাসজিদুল কিবলাতাইন, তথাকথিত বিশেষ সাত মসজিদ ও মসজিদে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু ইত্যাদির) আলোচনা করব এক জায়গায়, আর এ ভাবেই... গবেষণাকর্মটি চলবে।

আর আমি দেখছি অনিচ্ছাসত্ত্বেও প্রথম পদ্ধতির অনুসরণে তাতে কিছু বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, যাতে এ গ্রন্থটি আল্লাহ তাওফীক দিলে গবেষক ও ছাত্রদের জন্য হাজী সাহেবের হজ যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আকীদাগত ভুল-ত্রুটিগুলো জানার জন্য একটা দলীল হতে পারে; ফলে এর দ্বারা তাদের জন্য সহজ হবে এ বিষয়গুলো এক পা এক পা করে অনুসরণ করা, আর এ পথ ধরে তা সংশোধন ও পরিশুদ্ধ করা এবং তাতে পতিত হওয়ার আগেই তার ব্যাপারে সতর্ক করা।

অচিরেই এসব ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা হবে ধারাবাহিক অধ্যায় অনুসারে, প্রত্যেকটি ভুল-ভ্রান্তি একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়ের মধ্যে; আর যখন কোনো বিরোধের সম্পর্ক থাকবে পূর্বের বক্তব্যের সাথে, তখন আমি প্রথমটির আলোচনা করব বিস্তারিতভাবে এবং পরবর্তীটিকে সংক্ষেপ করব প্রথমটির বরাতসহ ইঙ্গিত করে।

গবেষণার শব্দ-তালিকার পরিচয়:

১. ‘আল-মুখালিফাত’ (المخالفات): শব্দটি مخالفة শব্দের বহুবচন, আর ‘ইখতিলাফ’ (الاختلاف) শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘ইত্তিফাক’ (الاتفاق) তথা ঐকমত্যের বিপরীত, অর্থাৎ অনৈক্য বা মতবিরোধ, আর কোনো কোনো আলিম ‘খিলাফ’ (الخلاف) ও ‘ইখতিলাফ’ (الاختلاف)-এর মধ্যে পার্থক্য করেন। তারা বলেন, ‘ইখতিলাফ’ (الاختلاف) শব্দটি এমন কথা বা মতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দলীল-প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে ‘খিলাফ’ (الخلاف) শব্দটি ব্যবহৃত এমন ক্ষেত্রে, যার ব্যাপারে কোনো দলীল-প্রমাণ নেই; আর তাতে বিরোধিতাকারীর পক্ষে দুর্বলতার বিষয়টি সাব্যস্ত হয়।[1]

আর তার ওপর ভিত্তি করে বলা যায়- যে ব্যক্তি এসব ‘মুখালিফাত’ তথা বিরোধকে পালন বা প্রতিষ্ঠিত করবে, তার সাথে তার কাজের ব্যাপারে আস্থা স্থাপন করার মত কোনো দলীল-প্রমাণ নেই; বরং তাকে শুধু ‘মুখালিফ’ (مخالف) তথা বিরোধিতাকারী বলে গণ্য করা হবে। আর যে ব্যক্তি দুর্বল অথবা বানোয়াট দলীলের ওপর নির্ভর করবে, সে ব্যক্তি হলো এমন ব্যক্তির ন্যায়, যার কাছে কোনো দলীল-প্রমাণ নেই।

আর মুসলিম ব্যক্তি কর্তৃক সঠিক বিষয়ের বিপরীত মত পোষণ করার বিষয়টি জানা যাবে দলীল-প্রমাণ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন-চরিত, কথা ও কাজ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার মাধ্যমে।

২. আল-‘আকদিয়্যা (العقدية): এ শব্দটি ইঙ্গিত করে এমন সব মাসায়েলের দিকে, যা আকীদাগত মাসায়েলের সাথে সুনির্দিষ্ট[2], আর এটা এমন এক শর্ত, যার কারণে ইবাদত সংক্রান্ত মাসয়ালাগুলো এ গবেষণার আওতামুক্ত হয়ে যায়, ফলে গবেষণাটি সে দিকে প্রবেশ করবে না। যেমন, পাথর ব্যতীত জুতা ও অনুরূপ কিছুর মত কোনো বস্তু জামারায় নিক্ষেপ করা; এর ফলে ঐসব সাধারণ শরী‘আতী ভুল-ভ্রান্তিসমূহ এ গবেষণার আওতামুক্ত হয়ে যায়, যা পারিভাষিক দৃষ্টকোণ থেকে ‘আকিদার অন্তর্ভুক্ত হয় না। যেমন, দাড়ি মুণ্ডন করা, কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করা, নারীগণ কর্তৃক মাহরাম পুরুষ সঙ্গী ব্যতীত সফর করা ইত্যাদি।

৩. হজ(الحج): হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা, আর পরিভাষায় হজ মানে: সুনির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কতগুলো কাজ করার জন্য মক্কায় গমনের ইচ্ছা করা।[3] আর এর মাধ্যমে ঐসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ আমাদের গবেষণার আওতামুক্ত হয়ে যায়, যেগুলো হজের মৌসুম ব্যতীত অন্য সময়ে হয়ে থাকে, যার কিছু উদাহরণ একটু পরেই আমাদের সামনে আসছে।

গবেষণার লক্ষ্য:

এ গবেষণার মধ্য থেকে গবেষকের লক্ষ্য হলো, জনগণকে ঐসব আকীদাগত বিরোধের সাথে পরিচিত করা, যা হজের মৌসুমে কোনো কোনো হাজী সাহেবের দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে; আর শরী‘আতের ভাষ্য এবং আলেমগণের বক্তব্যের মাধ্যমে দীনের সাথে সেসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিপূর্ণ বিষয়গুলো উপস্থাপন করা।

বস্তুত ভুল-ভ্রান্তির প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে তা জনগণের কাছে বর্ণনা করে দেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ; আর তাই দেখা যায় আমাদের আলিম সমাজ বিদ‘আত ও তার বর্ণনা এবং তা থেকে সতর্ককরণ বিষয়ে প্রাচীন ও আধুনিক সময়ে অনেক লেখালেখি করেছেন।

আর যে ব্যক্তি ভুলটা জানতে পারবে, সে তাতে পতিত হওয়া থেকে নিরাপদ থাকবে, হুযায়ফা ইবনল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন,

«كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ ؛ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي» .

“জনগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করত ভালো সম্পর্কে, আর আমি তাঁর নিকট প্রশ্ন করতাম মন্দ বিষয় সম্পর্কে- এ আশঙ্কায় যে, তা (মন্দ) আমাকে পেয়ে বসবে।”[4]

তিনি আরও বলেন,

«كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَهُ عَنْ الْخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنْ الشَّرِّ، قِيلَ : لِمَ فَعَلْتَ ذَلِكَ ؟ قَالَ : مَنْ اتَّقَى الشَّرَّ ؛ وَقَعَ فِي الْخَيْرِ».

“নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেন ভালো সম্পর্কে; আর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতাম মন্দ বিষয় সম্পর্কে; বলা হলো, কেন আপনি এরূপ করতেন? তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মন্দ পরিহার করে চলবে, সে ভালো ও কল্যাণের মধ্যে থাকবে।”[5]

গবেষণার পরিধি:

গবেষণাটি নির্ধারিত সময় ও স্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত; আর গবেষণাটি এমন সব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিকে অন্তর্ভুক্ত করবে, যা হজের সময়ে ও হজের স্থানে হাজীগণের একটি গোষ্ঠীর মাঝে সংঘটিত হয়। সুতরাং হাজীগণের কেউ কেউ হজের মাসসমূহে, মক্কায় এবং হজের পবিত্র স্থানসমূহের মধ্যে যে কাজ করবেন, তা গবেষণার পরিধির আওতাভুক্ত হবে।

আর এর অনুষঙ্গ হিসেবে যা তাদের হজের পথে এবং হজের পরে মদীনায়ে নববীতে তাদের পক্ষ থেকে ঘটবে, তাও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

আর তার ওপর ভিত্তি করে আকীদাগত বিরোধেসমূহের মধ্য থেকে যা হজের মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে প্রকাশ পায়, তার সাথে গবেষণার কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যেমন, ঐসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তি, যা সংঘটিত হয় মহররম মাসের দশম দিনে, অথবা রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখে, অথবা রজব মাসের ২৭ তারিখে অথবা শা‘বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে এবং অনুরূপ আরো কোনো সময়ে।অনুরূপভাবে আমি গবেষণার মধ্যে ঐসব আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তি পরিহার করেছি, যা ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আলহামদু লিল্লাহ। যেমন, আরাফার রজনীতে ‘জাবালে ‘আরাফা’ (আরাফার পাহাড়)-এর ওপরে আগুন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করার বিদ‘আত[6] এবং আরাফার পাহাড়ে অবস্থিত ‘কুব্বাতু আদাম’ (আদমের তাঁবু)-এর চতুষ্পার্শ্বে তাওয়াফ করার বিদ‘আত[7], আর এগুলো ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়ে গেছে, আলহামদু লিল্লাহ।

>
[1] দেখুন: ‘লিসানুল আরব’: (৯/৯০); ‘তাজুল ‘আরুস মিন জাওয়াহেরিল কামূস’: (১২/১৮৯, ১৯৯); ‘কাশ্শাফু ইস্তিলাহাত আল-ফুনূন ওয়াল ‘উলূম’: (১/১১৬-১১৭)।

[2] ‘আল-মু‘জাম আল-ওয়াসীত’: (২/৬১৪) নামক অভিধানের মধ্যে এসেছে: (‘আকিদা: এমন হুকুম বা সিদ্ধান্ত, যার ব্যাপারে তার বিশ্বাসী ব্যক্তির নিকট কোনো প্রকার সন্দেহ-সংশয় গ্রহণযোগ্য নয়)।

[3] দেখুন: ‘আন-নাযম আল-মুসতা‘যাব ফী শরহে গারীব ‘আল-মুহায্যাব’: (১/১৮১); ‘আদ-দুর্রুন নাকী ফী শরহে আলফায আল-খিরাকী’: (২/৩৭৬); ‘মুন্তাহাল ইরাদাত ফী জাম‘য়ে ‘আল-মুকনি‘য়ে’ মা‘আ ‘ আত-তানকীহ’ ওয়া যিয়াদাত’: (২/৫৭)।

[4] সহীহ বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ৩৪১১; সহীহ মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৮৪৭; আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ২৩৪২৫; আবূ দাউদ, আস-সুনান, হাদীস নং ৪২৪৪।

[5] আহমাদ, আল-মুসনাদ, হাদীস নং ২৩৩৯০।

[6] ইমাম নববী রহ. তা আলোচনা করেছেন, তিনি বলেছেন: সাধারণ জনগণের একটি অংশ ‘জাবালে ‘আরাফা’ (‘আরাফার পাহাড়)-এ জিলহজ মাসের নবম রজনীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করে, আর তিনি উল্লেখ করেন যে, এটা নিকৃষ্টতর বিদ‘আতসমূহের অন্তর্ভুক্ত এবং তা কদর্যতাপূর্ণ ভ্রষ্টতা, যা কয়েক প্রকারের মন্দকে একত্রিত করে। যেমন, আগুনের প্রতি বিশেষ মনোযোগের মধ্য দিয়ে অগ্নিপূজকদের ধর্মীয় সংস্কৃতিকে প্রকাশ করা। [‘আল-মাজমূ‘উ শরহু ‘আল-মুহায্যাব’: (৮/১৪০); আরও দেখুন: ‘আল-ইবদা‘উ ফী মাদারিল ইবতিদা‘য়ে’: (পৃ. ৩০৫)]

[7] শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. তা আলোচনা করেছেন, তিনি বলেছেন: “আরাফাতের সবটুকুই অবস্থান করার জায়গা; আর বতনে ‘উরানাতে অবস্থান করবে না; আর সেখানকার পাহাড়ে আরোহণ করাটা সুন্নাহ’র অন্তর্ভুক্ত নয়; আর সে পাহাড়টিকে ‘জাবালে রহমত’ (রহমতের পাহাড়) বলা হয়, আর তাকে এর ওজনে ‘ইলাল’ -ও বলা হয়; অনুরূপভাবে তার ওপরে অবস্থিত তাঁবুর বিষয়টিও, যাকে ‘কুব্বাতু আদাম’ (আদমের তাঁবু) বলা হয়; তাতে প্রবেশ করা এবং তার মধ্যে সালাত আদায় করাটা মুস্তাহাব কিছু নয়; আর তার চতুর্দিকে তাওয়াফ করাটা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।” [‘মানসাকু শাইখুল ইসলাম’, সাউদী ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আওতায় মুদ্রিত: (২৬/১৩৩)]।