উক্ত শৈথিল্য পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তা যেমন মহিলার ক্ষেত্রে হতে পারে তেমনিভাবে তা পুরুষের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তবে তা পুরুষের ক্ষেত্রে খুবই কম; কিন্তু কোনো মহিলা যদি আঁট-সাঁট, পাতলা, খাটো কিংবা জায়গায় জায়গায় খোলা ও কারুকার্যময় পোশাক পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তা হলে পুরুষরা স্বভাবতই তাকে লজ্জা ও চরিত্রহীনা মনে করে তার প্রতি অতি সত্বর ঝুঁকে পড়বে। তেমনিভাবে কোনো পুরুষও যদি ফাসিকের পোশাক পরিধান করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় তা হলে খারাপ মহিলারাও স্বভাবতই তার পিছু নিবে।
উক্ত শিথিলতা আবার কখনো কখনো আচার-আচরণ এবং চলাফেরার ঢংয়ের মধ্যেও হতে পারে। তাতে করে মহিলাদের প্রতি পুরুষদের সরল দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের সুপ্ত উত্তেজনা জেগে উঠবে। তেমনিভাবে মহিলারাও পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তাদের সুপ্ত উত্তেজনা জেগে উঠবে।
আবার তা কখনো কখনো কথা-বার্তার ঢংয়েও হতে পারে। কারণ, কোনো মহিলা অপর পুরুষের সাথে ইচ্ছাকৃত কোমল ও সুমিষ্ট এবং দীর্ঘ অপ্রয়োজনীয় আলাপ করলে স্বভাবতই পুরুষরা তার প্রতি আকৃষ্ট হবে। আর এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা মহিলাদেরকে পুরুষদের সাথে ইচ্ছাকৃত বিনম্র কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
﴿إِنِ ٱتَّقَيۡتُنَّۚ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِٱلۡقَوۡلِ فَيَطۡمَعَ ٱلَّذِي فِي قَلۡبِهِۦ مَرَضٞ وَقُلۡنَ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا﴾ [الاحزاب: ٣٢]
“তোমরা যদি মহান আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে থাকো তা হলে অন্য পুরুষের সাথে কথা বলতে কোমল কন্ঠে কথা বলো না। তা হলে যে কোনো অন্তরের রোগী তোমাদের প্রতি প্রলুব্ধ হবে। তবে তোমরা ন্যায় সঙ্গত কথা বলবে”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩২]