প্রিয় পাঠক! আল্লাহর শত প্রশংসা, সাউদী আরবে মহিলারা আজ শিক্ষা-দিক্ষার সর্বোচ্চ স্থান দখল করেছে, অর্জন করে চলেছে সর্বোচ্চ ডিগ্রি। নারীরা তাদের উপযোগী বহু ক্ষেত্রে কর্মে নিয়োজিত। যেমন, সেখানে তারা ডাক্তার, শিক্ষিকা, পরিচালিকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা, তত্ত্বাবধায়ক ও গবেষক। আর প্রত্যেকে তারা জাতির উন্নতি ও জাতির নব প্রজন্ম গঠনের লক্ষে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
তাদের পর্দা, লজ্জা ও সংযমশীলতা তো সেগুলো থেকে তাদেরকে বিরত রাখে না?
সৌদী আরবের মুসলিম মহিলারা প্রমাণ করেছে যে, অন্যান্য দেশের মহিলাদের মত নিজেদের প্রদর্শন, উপস্থাপন, বেপর্দা, পরপুরুষদের সাথে সংমিশ্রণ ও নিজেদেরকে বিলিয়ে না দিয়ে নিজেদের সমাজ ও জাতির সেবা করা যায়।
এই বাস্তবতার প্রতিফলনের মাধ্যমে মহিলারা এ দেশে সমাধিকার, অবাধ মেলামেশা ও অবাধ সৌন্দর্য প্রদর্শনের দাবীদারদের দাবীর ভ্রান্ততা প্রমাণ করে, যেমন উক্ত দাবীদারদের দাবী হলো: “আমাদের দেশের নারী সমাজ একটি আবদ্ধ শক্তি, এদের পর্দা উম্মোচন এবং তাদেরকে পুরুষদের কর্মস্থলে অবাধ বিচরণের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত এদের দ্বারা উপকৃত হওয়া সম্ভব নয়।”
এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহর মহাসত্য বাণী:
﴿كَبُرَتۡ كَلِمَةٗ تَخۡرُجُ مِنۡ أَفۡوَٰهِهِمۡۚ إِن يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبٗا﴾ [الكهف: ٥]
“তাদের মুখনিসৃত কথা নিকৃষ্ট কথা, তারা তো শুধু মিথ্যাই বলে।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ৫]!!!!!