তেমনিভাবে ইসলামী শরী‘আত নারীকে একসাথে একাধিক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে নিষেধ করেছে। কারণ, নারীকে এক সাথে একাধিক বিবাহের অনুমতি দেওয়া হলেও মানুষের পিতৃ পরিচয় ও বংশ পরিচয় থাকবে না। তাই ধ্বংস হয়ে যাবে পরিবার এবং বিবাহের ফলাফল। এজন্যই ইসলামী শরী‘আত নারীকে একসাথে একাধিক বিবাহের অনুমতি দেয় নি।
অপর দিকে ইসলামী শরী‘আত পুরুষদেরকে শর্তসাপেক্ষে একসাথে একাধিক বিবাহের অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ পুরুষের যদি জৈবিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকে এবং একাধিক স্ত্রীদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাহলে প্রয়োজন অনুসারে একাধিক বিয়ে করতে পারে। কারণ, এতে বিবাহের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও বংশ মর্যাদা বহাল থাকে। পরিবারও ধ্বংস হয় না বরং একাধিক পরিবার হতে পারে। কিন্তু তার পরেও ইসলামী শরী‘আত পুরুষদেরকে শুধু ফুর্তির জন্য একসাথে একাধিক বিয়ে করার অনুমোদন দেয়নি। কারণ, এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে এবং স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিদের ভালোবাসা, সহমর্মিতা, দয়া, অনুগ্রহ ইত্যাদি হ্রাস পায়। একে-অন্যে হিংসা বিদ্বেষের মাধ্যমে স্বামী কর্তৃত্বে আঘাত হানে, পরিবার ভেঙ্গে যায়। এমনকি পরিবারের সদস্যদের মাঝে আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। অতএব, ইসলামী শরী‘আতের এ সিস্টেমের ভিত্তিতে, দয়া-ভালোবাসা-সহমর্মিতার ওপর একটি আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠে। জাগ্রত হয় একে অন্যের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব। তখন স্বামী তার স্ত্রীকে এমন কোনোও কাজে বাধ্য করতে পারে না বা তার ওপর এমন কোনো কাজের বোঝা চাপিয়ে দিতে পারে না, যা তার ইচ্ছা ও সাধ্যের বাইরে। তেমনিভাবে স্ত্রীও তার স্বামীকে এমন কোনোও কাজে বাধ্য বা তার ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না, যা তার ইচ্ছা ও সাধ্যের বাইরে। আর এতেই রয়েছে পরিবারের শান্তি।