জাদু শেখা এবং তদনুযায়ী আমল করা কুফরী। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَٱتَّبَعُواْ مَا تَتۡلُواْ ٱلشَّيَٰطِينُ عَلَىٰ مُلۡكِ سُلَيۡمَٰنَۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيۡمَٰنُ وَلَٰكِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحۡرَ﴾ [البقرة: ١٠٢]
“তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্বকালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফরী করেন নি; বরং শয়তানরাই কুফরী করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা শিক্ষা দিত” (বাক্বারাহ ১০২)।
অন্য আয়াতে এসেছে,
﴿يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡجِبۡتِ وَٱلطَّٰغُوتِ﴾ [النساء: ٥١]
“তারা জাদু এবং তাগূতকে বিশ্বাস করে” (নিসা ৫১)। উক্ত আয়াতে الْجِبْتِ (জিব্ত) শব্দের অর্থ হচ্ছে, জাদু। এখানে আল্লাহ জাদুকে তাগূতের সাথে তুলনা করেছেন। সেজন্য তাগূতের প্রতি ঈমান আনা যেমন কুফরী, জাদুকে বিশ্বাস করাও তেমনি কুফরী। মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেন,
﴿ وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ ٤ ﴾ [الفلق: ٤]
“(আশ্রয় প্রার্থনা করছি) গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে” (ফালাক্ব ৪)। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اجْتَنِبُوا السَّبْعَ الْمُوبِقَاتِ»
“তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক বিষয় থেকে বেঁচে থাকো...'। সাতটি ধ্বংসাত্মক বস্তুর মধ্যে তিনি জাদুর কথাও উল্লেখ করেছেন। জুনদুব (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, “জাদুকারীর শাস্তি হচ্ছে, তাকে তরবারী দিয়ে আঘাত করতে হবে”। অর্থাৎ মুসলিম সরকার তাকে হত্যা করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ عَقَدَ عُقْدَةً ثُمَّ نَفَثَ فِيهَا فَقَدْ سَحَرَ وَمَنْ سَحَرَ فَقَدْ أَشْرَكَ»
“যে গিঁঠ দিল এবং গিরায় ফুঁক দিল, সে জাদু করল। আর যে জাদু করল, সে শির্ক করল” (মুসলিম)। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,
«لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَطَيَّرَ أَوْ تُطُيِّرَ لَهُ، أَوْ تَكَهَّنَ أَوْ تُكُهِّنَ لَهُ، أَوْ سَحَرَ أَوْ سُحِرَ لَهُ»
“সেই ব্যক্তি আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে মন্দের লক্ষণ গ্রহণ করে, বা লক্ষণ বের করায়, অনুরূপভাবে যে ভবিষ্যদ্বাণী করে বা করায় অথবা যে জাদু করে বা করায়” (বাযযার)। ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) তাঁর গভর্ণরগণকে নির্দেশ দিয়ে লিখেছিলেন যে,
«اقْتُلُوا كُلَّ سَاحِرٍ وَسَاحِرَةٍ»
“তোমরা প্রত্যেকটি জাদুকর এবং জাদুকরীকে হত্যা কর” (বুখারী)।