দুই প্রকারঃ
১. বৈধ যিয়ারতঃ আখেরাত ও মৃত্যুকে স্মরণ করা এবং মৃত ব্যক্তির জন্য দো‘আ করার উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারত করাই হচ্ছে, বৈধ যিয়ারত। এই যিয়ারতের মাধ্যমে যিয়ারতকারী ছওয়াবের অধিকারী হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنِ زِيَارَةِ الْقُبُورِ أَلاَ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا َتُذَكِّرُ الآخِرَةَ»
“আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু এখন তোমরা কবর যিয়ারত কর। কেননা তা আখেরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়” (মুসলিম)।
২. নিষিদ্ধ যিয়ারতঃ যে যিয়ারতের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির নিকটে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়, সুপারিশ চাওয়া হয়, তা-ই নিষিদ্ধ যিয়ারত। এই যিয়ারতের মাধ্যমে যিয়ারতকারী গোনাহগার হয়; বরং এরূপ আমল বড় শির্কের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ مَا يَمۡلِكُونَ مِن قِطۡمِيرٍ ١٣ إِن تَدۡعُوهُمۡ لَا يَسۡمَعُواْ دُعَآءَكُمۡ وَلَوۡ سَمِعُواْ مَا ٱسۡتَجَابُواْ لَكُمۡۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يَكۡفُرُونَ بِشِرۡكِكُمۡۚ وَلَا يُنَبِّئُكَ مِثۡلُ خَبِيرٖ ١٤ ﴾ [فاطر: ١٣، ١٤]
“তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর বীচির আবরণেরও অধিকারী নয়। তোমরা তাদেরকে ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনে না। আর শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয় না। কিয়ামতের দিন তারা তোমাদের শির্ক অস্বীকার করবে। বস্তুতঃ আল্লাহ্র ন্যায় কেউ তোমাকে অবহিত করতে পারবে না” (ফাতির ১৩-১৪)।