‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মা‘বূদ নেই’-এর অর্থ হচ্ছে, لاَ مَعْبُوْدَ بِحَقٍّ إِلاَّ الله অর্থাৎ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব মা‘বূদ নেই’। এরশাদ হচ্ছে,
﴿ وَجَعَلَهَا كَلِمَةَۢ بَاقِيَةٗ فِي عَقِبِهِۦ لَعَلَّهُمۡ يَرۡجِعُونَ ٢٨ ﴾ [الزخرف: ٢٨]
“এ কথাটিকে তিনি (ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালাম) অক্ষয় বাণী রূপে তাঁর পরবর্তীদের মধ্যে রেখে গেছেন, যাতে তারা আল্লাহ্র দিকেই ফিরে যেতে পারে” (যুখরুখ ২৮)।
আর ‘মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র রাসূল’-এর অর্থ হচ্ছে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল। তিনি আল্লাহ্র এমন একজন বান্দা, যার ইবাদত করা যাবে না এবং এমন একজন নবী, যাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা যাবে না; বরং তাঁর নির্দেশিত বিষয়ে তাঁকে অনুসরণ করতে হবে, তাঁর থেকে বর্ণিত বিষয়সমূহকে সত্য প্রতিপন্ন করতে হবে এবং তাঁর নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে বিরত থাকতে হবে। অনুরূপভাবে তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতিতে আল্লাহ্র ইবাদত করতে হবে। সেজন্য তিনি সবধরনের বিদ‘আতকে নিষিদ্ধ করেছেন। ফলে ইসলামে ‘উত্তম বিদ‘আত’ বলতে কিছু নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,
«إِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ»
“তোমরা শরী‘আতে নবাবিষ্কার থেকে বেঁচে থাকো। কেননা নবাবিষ্কৃত প্রত্যেকটা বস্তুই হচ্ছে বিদ‘আত এবং প্রত্যেকটি বিদ‘আতই হচ্ছে পথভ্রষ্টতা” (মুসনাদে আহমাদ)।
তিনি আরো বলেন,
«مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ»
“যে ব্যক্তি আমাদের নির্দেশের বাইরে কোনো আমল করলো, তার সেই আমল প্রত্যাখ্যাত” (মুসলিম)।
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ أَحْدَثَ فِى أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدٌّ»
“যে ব্যক্তি আমাদের এই শরী‘আতে নতুন কিছু সৃষ্টি করল- যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবে তা প্রত্যাখ্যাত” (বুখারী ও মুসলিম)।