কুরআন ও হাদীছের আলোকে হজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত চতুর্থ অধ্যায় শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
কুরবানীর পশু সম্পর্কীয় কতিপয় মাসায়িল

প্রথম মাস’আলা: কুরবানীর পশুর ধরণ

কুরবাণীর পশুর ধরণ হচ্ছে: উঁট, গরু, ছাগল, দুম্বা বা মেষ। এর দলীল মহান আল্লাহর বাণী:

(وَلِكُلِّ أُمَّةٍ جَعَلْنَا مَنسَكاً لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُم مِّن بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ فَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَلَهُ أَسْلِمُوا وَبَشِّرِ الْمُخْبِتِينَ)الحج 34

আমি প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানীর নিয়ম করে দিয়েছি। তাদেরকে গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু হতে যে রিযক্ দেয়া হয়েছে সেগুলোর উপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। কারণ, তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য, কাজেই তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ কর আর সুসংবাদ দাও বিনীতদেরকে।[1]

আর গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু হলো: উঁট, গরু, ছাগল, দুম্বা বা মেষ। আর কুরবানীতে একটি ছাগল, মেষ বা দুম্বা একজনের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে।

পক্ষান্তরে একটি উঁট বা গরু সাতজনের পক্ষ হতে যথেষ্ট হবে।

এর দলীল জাবির (রা.)-এর বর্ণিত হাদীস; তিনি বলেন, আমাদেরকে আল্লাহর রসূল (সা.) উঁট ও গরুর ক্ষেত্রে সাতজনকে একটি পশুতে ভাগ নিতে নির্দেশ করেন।[2]

দ্বিতীয় মাস’আলা: কুরবানীর পশুতে যে সব গুণ থাকা আবশ্যক

আর তা হচ্ছে দু’টি:

১। পশুর শরীয়াত নির্ধারিত বয়স হওয়া। আর তা হচ্ছে, উঁটের বয়স পাঁচ বছর সম্পূর্ণ হওয়া, গরুর বয়স দুই বছর সম্পূর্ণ হওয়া, ছাগলের বয়স এক বছর সম্পূর্ণ হওয়া, মেষ বা দুম্বার বয়স ছয় মাস পূর্ণ হওয়া। এর কম বয়সের হলে তা কুরবানীতে যথেষ্ট হবে না। এর দলীল নবী (সা.) এর হাদীস:

لَا تَذْبَحُوا إِلَّا مُسِنَّةً إِلَّا أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنْ الضَّأْنِ

তোমরা দাঁতা পশু ব্যতীত অন্য কোন পশু (কুরবানীতে) যবহ করবে না। তবে যদি তোমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে তাহলে দুম্বা বা মেষের জায্’আ (যার বয়স ছয় মাস) যবহ্ করবে।[3]

২। চারটি দোষ হতে কুরবানীর পশুর মুক্ত হওয়া, যা থেকে নাবী (সা.) কুরবানীর পশুর ক্ষেত্রে বেঁচে থাকতে বলেছেন। আর তা হলো:

  1. স্পষ্ট কানা হওয়া। আর দুই চোখের অন্ধ হওয়া আরো বড় দোষ, তাই তা যথেষ্টে হবে না।
  2. স্পষ্ট রোগী হওয়া, যেমন চুলকানী-পাচড়া বা অন্য কোন ব্যধীতে আক্রান্ত হওয়া।
  3. স্পষ্ট খোঁড়া হওয়া এবং এমন অচল হওয়া যা চলতে পারে না। তাই কোন একটি পা কাটা হওয়া আরো বড় দোষ।
  4. আর এমন দুর্বল হওয়া যার শরীরে কোন মাংস নেই।[4]

এর দলীল ইমাম মালিক মু‘আত্তা নামক হাদীস গ্রন্থে বারা বিন আযিব (রা.) হতে বর্ণনা করেন যে, নাবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হয়; কোন্ কোন্ ধরণের পশু কুরবানী করা হতে বিরত থাকতে হবে? তখন তিনি (সা.) নিজ হাতের ইঙ্গিতে বলেন: চারটি দোষেযুক্ত পশুর কুরবানী করা হতে বিরত থাকবে। আর বারা (রা.) নিজ হাতের ইশারা করতেন এবং বলতেন, আমার হাত আল্লাহর রসূল (সা.) এর হাত হতে খাট। (তিনি যে চারটি দোষের কথা বলেন তা হল) স্পষ্ট খোঁড়া হওয়া, স্পষ্ট কানা হওয়া, স্পষ্ট রোগী হওয়া এবং এমন দুর্বল হওয়া যার গায়ে কোন মজ্জা নেই। তবে এর থেকে ছোট ধরণের দোষ যেমন, পশুর কান কাটা বা সিং ভাঙ্গা হওয়া; এমন পশুর কুরবানী করা মাকরূহ (অপছন্দনীয়), কিন্তু সঠিক মতে তার কুরবানী শুদ্ধ হওয়াতে কোন বাধা নেই।

আর কুরবানীর পশুতে যে সব গুণ থাকা উত্তম: তা হলো, কুরবানীর পশুর মোটা হওয়া, শক্তিশালী হওয়া, দৈহিক গঠনে বড় হওয়া এবং দেখতে সুন্দর হওয়া। সুতরাং কুরবানীর পশু যত ভাল হবে ততই মহান আল্লাহর নিকট তা প্রিয় হবে। আর সহীহ হাদীসে রয়েছে, আল্লাহ সুন্দর ও উত্তম, তাই তিনি সুন্দর ও উত্তম ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করেন না।

তৃতীয় মাস’আলা: (হাদী) কুরবানীর পশু যবাহ করার স্থান

তা হচ্ছে ‘মিনা’। তবে মক্কায় বা হারামের যে কোন এলাকায় (হাদী) হাজ্জের কুরবানী যবহ করা জায়েয। এর দলীল নবী (সা.) এর বাণী:

كُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ طَرِيقٌ وَمَنْحَرٌ

সমস্ত আরাফার ময়দান অবস্থান স্থল, সমস্ত মিনার মাঠ কুরবানীর স্থান, সমস্ত মুযদালিফা অবস্থান স্থল এবং মক্কার সমস্ত গলী হচ্ছে রাস্তা এবং কুরবানীর স্থান।[5]

ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, হারামের সমস্ত এলাকা হচ্ছে কুরবানীস্থল, সুতরাং হাজ্জে বা উমরায় হারামের যে কোন স্থানে কুরবানী করলেই যথেষ্ট হবে। তাই যদি দেখা যায় যে, কুরবানী মক্কায় করলে দরিদ্রদের বেশী লাভ হবে তাহলে মক্কাতেই করবানী করবে, তা ঈদের দিন হোক কিংবা তার পরের তিন দিনে হোক। আর যদি কেউ হারামের এলাকার বাইরে, যেমন আরফায় বা অন্য কোন হালাল স্থানে হাদী (হাজ্জের সাথে সম্পর্কিত কুরবানী) যবহ করে তাহলে তা প্রসিদ্ধ মতে যথেষ্ট হবে না।

চতুর্থ মাস’আলা: কুরবানীর পশু যবহ করার সময়

তা হলো ঈদের দিন সূর্য এক বর্ষা পরিমাণ উদয় হওয়া ও ঈদের সলাত সমাপ্ত হওয়ার পর হতে তাশরীকের শেষ দিন (১৩ই যিলহাজ্জ) সূর্যাস্ত পর্যন্ত। কারণ নাবী (সা.) নিজ কুরবানীর পশু ঈদের দিন সকাল বেলা যবাহ করেছেন। আর নাবী (সা.) হতে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন:

كُلُّ أيَّامِ التَّشْرِيْقِ ذَبْحٌ

তাশরীকের সব দিনগুলি কুরবানী যবহ করার দিন।[6]

সুতরাং হাজ্জে তামাত্তু বা কিরানের হাদী (কুরবানী) ঈদের দিনের পূর্বে যবহ করা জায়েয নয়। কারণ, নাবী (সা.) ঈদের দিনের পূর্বে তা কখনও যবহ করেননি। আর তিনি ইহাও বলেছেন:

خُذُوْا عَنِّيْ مَنَاسِكَكُمْ

তোমরা আমার থেকে হাজ্জের বিধি-বিধান গ্রহণ কর।[7]

অনুরূপ তাশরীকের দিনগুলি অতিবাহিত হওয়ার পর কুরবানী করা জায়েয নয়। কারণ, ইহা কুরবানীর জন্য নির্ধারিত দিনের বাইরে। আর এই চার দিনের রাত দিন যে কোন সময় কুরবানী করা জায়েয, তবে দিনে কুরবানী করা উত্তম।

পঞ্চম মাস’আলা: পশু যবহের ইসলামী পদ্ধতি

উট যবহ করার ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো, পশু দাঁড় করে সামনের বাম পা বাঁধা অবস্থায় কুরবানী করা। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে পশু দাঁড়ান অবস্থায় বা বসা অবস্থায় যবহ করবে। পক্ষান্তরে উঁট ছাড়া অন্য পশু যবহের ক্ষেত্রে সুন্নাত হলো, পশুকে কাত করে শুয়ে দিয়ে যবহ করা।

আর ‘নাহর’ ও ‘যাবাহ’ অর্থাৎ দাঁড় করে যবহ করা এবং শুইয়ে যবহ করার মধ্যে পার্থক্য হল যে, দাঁড় করে যবহ করা পশুর বুকের দিক থেকে গলার নিচভাগে হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে শুইয়ে যবহ করা পশুর মাথার দিক থেকে গলার উপরভাগে হয়ে থাকে। দাঁড় করে যবহ করা হোক কিংবা শুইয়ে যবহ করা, উভয় ক্ষেত্রে পশুর গলার ‘ওয়াদাজ’ নামক দুটো শিরা কেটে রক্ত প্রবাহিত করা আবশ্যক। যার দলীল, নাবী কারীম (সা.)-এর বাণী:

مَا أَنْهَرَ الدَّمَ وَذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ فَكُلُوهُ مَا لَمْ يَكُنْ سِنٌّ وَلَا ظُفُر

(পশু হালাল হবে) এমনভাবে যবহ করলে যাতে রক্ত প্রবাহিত হয় এবং আল্লাহর নাম নেয়া হয়, তাহলে তা খাও। তবে যেন দাঁত বা নখ দ্বারা রক্ত প্রবাহিত না করা হয়।[8]

  • আর রক্ত প্রবাহিত করার শরীয়াত সম্মত পদ্ধতি হলো, গলার দুটো শিরা কেটে দেয়া। দুই ওয়াদাজ হলো, খাদ্য নালীর দুই পাশ্বের মোটা শিরা। আর তা সম্পূর্ণভাবে কাটতে হলে খাদ্যনালী এবং কণ্ঠনালীও তার সাথে কাটতে হবে।
  • পশু যবহকারীকে যবহ করার সময় (بسْمُ اللَّهِ) ‘বিসমিল্লাহ’ বলা আবশ্যক; কারণ, কোন পশুর যবহ করার পূর্বে আল্লাহর নাম না পাঠ করলে সেই পশুর মাংস খাওয়া হারাম।

এর দলীল মহান আল্লাহর বাণী:

(وَلاَ تَأْكُلُواْ مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ) الأنعام121

যাতে (যবহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তা তোমরা মোটেই খাবে না, তা হচ্ছে পাপাচার।[9]

সুতরাং এ অবস্থায় তা কুরবানী হিসাবে যথেষ্ট হবে না; কারণ, তা মৃত বলে গণ্য যা খাওয়া হালাল নয়।

ষষ্ঠ মাস’আলা: কুরবানীর মাংস বিতরণের নিয়ম-পদ্ধতি

এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন:

(فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ )الحج 28

সুতরাং তোমরা (নিজেরা) তা থেকে খাও, আর দুঃস্থ-অভাবীদের খাওয়াও।[10]

আর নাবী (সা.) তাঁর হাজ্জের অবস্থায় প্রত্যেকটি কুরবানীর পশু হতে এক-এক টুকরো মাংস নিয়ে পাত্রে একত্রিত করে রান্না করতে বলেন, অতঃপর তা হতে কিছু খান এবং তার ঝোল পান করেন।[11]

তাই সুন্নাত হলো, কুরবানীর মাংস নিজে খাওয়া এবং তা হতে অন্যদেরও খাওয়ানো। আর কুরবানীর মাংস নিজে না খেয়ে এবং অপরকে তা দান না করে শুধু-শুধু যবহ করে ফেলে রেখে দেয়া যথেষ্ট নয়; কারণ, ইহা ধন-সম্পদ বিনষ্ট করার শামিল। তাই যতক্ষণ এমন স্থানে না যবহ করবে যেখানে নিজের আশে-পাশ্বে দরিদ্র-অভাবীরা থাকবে, অতঃপর কুরবানীর পশু যবহ করে তাদেরকে দান করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কুরবানীকারী দায়িত্ব মুক্ত হবে না।

সুতরাং হাজীর জন্য উচিত যে, সার্বিক দিক থেকে নিজ কুরবানীর প্রতি গুরুত্ব দিবে, যাতে করে তার কুরবানী মহান আল্লাহর নিকট গৃহিত হয় ও তার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন হয় এবং আল্লাহর বান্দাদের জন্য তা যেন লাভজনক হয়।

আরো মনে রাখবেন যে, হাজ্জে তামাত্তু ও কিরানকারীর প্রতি কুরবানী ওয়াজিব করে বা কুরবানী করতে সক্ষম না হলে সিয়াম ওয়াজিব করে হাজি সাহেবের প্রতি জরিমানা আরোপ করা হয়নি বা তাকে অনর্থক কষ্ট দেয়া হয়নি; বরং ইহা হাজ্জের পূর্ণতা। আর আল্লাহর রাহমাত ও অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে যে, তিনি নিজ বান্দাহদের জন্য এমন বিধি-বিধান পাঠিয়েছেন যাতে রয়েছে তাদের ইবাদাতের পূর্ণতা, তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য অর্জন, তাদের নেকীর প্রাচুর্য এবং তাদের মর্যাদার উন্নয়ন। আর এ পথে ব্যয় করলে তার উত্তম বিকল্প পাওয়া যায় এবং যে মেহনত-পরিশ্রম করা হয় তার মহান আল্লাহ মুল্যায়ন করেন। সুতরাং ইহা হচ্ছে মহান আল্লাহর নিয়ামাত ও অনুগ্রহ যার জন্য হাদী (কুরবানী) যবহের মাধ্যমে বা তার বিকল্প (দশটি সিয়াম) সম্পাদনের মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করা আবশ্যক। তাই এই কুরবানী হচ্ছে শুকরিয়া প্রকাশের কুরবানী, ইহা জরিমানা বা ঘাটতি পূরণের কুরবানী নয়। অতএব হাজি সাহেব তা হতে নিজে খাবে, স্বচ্ছলদের উপঢৌকন দিবে এবং অভাবীদের প্রতি সাদাক্বাহ করবে। এ মহা উপকারিতার কথা অনেক লোকের কল্পনাতেও আসে না, ফলে এর প্রতি কোন গুরুত্বও দেয় না; তাই দেখা যায় যে, তারা হাদী (কুরবানী করা হতে সাধ্যমত পালায়ন করতে চেষ্টা করে। এমন কি বহু হাজি হাজ্জে ইফরাদ এ জন্য করে যাতে করে তাদের উপর কুরবানী বা তার বিকল্প (দশটি) সিয়াম ওয়াজিব না হয়। তারা এভাবে নিজেকে তামাত্তু বা কিরান হাজ্জের (হাজ্জ ও উমরার) ফযীলত থেকে এবং কুরবানী বা তার বিকল্পের ফযীলত থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখল। আল্লাহ যেন আমাদের সুমতি দান করেন। (আমীন)

>
[1]. সূরাহ আল-হাজ্জ ২২: ৩৪

[2]. সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম ১৩১৮।

[3]. সহীহ মুসলিম ১৯৬৩।

[4]. সহীহ: ইবনে মাজাহ ৩১৪৪।

[5]. আবূ দাঊদ ১৯৩৭, হাদীসটি হাসান সহীহ।

[6]. মুসনাদ আহমাদ ও বায়হাকী, হাদীসটি হাসান, দেখুন, সিলসিলা সহীহা ২৪৭৬

[7]. সহীহ মুসলিম ১২৯৭, আবূ দাউদ ১৯৭০, নাসাঈ ৩০৬২ ও বায়হাকী।

[8]. সহীহ বুখারী ৫৫৪৩।

[9] সূরাহ্ আনআ’মঃ ১২১

[10]. সূরাহ আল-হাজ্জ ২২ঃ ২৮

[11]. সহীহ মুসলিম