আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوحٍ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ يَاقَوْمِ إِنْ كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُمْ مَقَامِي وَتَذْكِيرِي بِآيَاتِ اللَّهِ فَعَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْتُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ وَشُرَكَاءَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُنْ أَمْرُكُمْ عَلَيْكُمْ غُمَّةً ثُمَّ اقْضُوا إِلَيَّ وَلَا تُنْظِرُونِ (71)) [يونس: 71].
‘আর তুমি তাদেরকে নূহের সংবাদ পড়ে শুনাও, যখন তিনি তার কওমকে বললেন, হে আমার কওম! আমার অবস্থান এবং আল্লাহর আয়াতসমূহের মাধ্যমে আমার উপদেশ দান যদি তোমাদের কাছে ভারী মনে হয়, তবে আমি আল্লাহর উপরই ভরসা করলাম। সুতরাং তোমরা অভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করো এবং (সাথে নাও) তোমাদের শরীকদের। অতঃপর তোমাদের বিষয়টি যেন তোমাদের নিকট অস্পষ্ট না থাকে। এরপর আমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কর এবং আমাকে অবকাশ দিও না’ (সূরা ইউনুস:৭১)।
আল্লাহ তা‘আলা হূদ (আঃ)-এর কথা উল্লেখ করে বলেন:
(قَالَ إِنِّي أُشْهِدُ اللَّهَ وَاشْهَدُوا أَنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ (54) مِنْ دُونِهِ فَكِيدُونِي جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُونِ (55) إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ (56)) ... [هود: 54 - 56].
‘তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি আল্লাহকে সাক্ষী রাখছি আর তোমরা সাক্ষী থাকো যে, আমি অবশ্যই তা থেকে মুক্ত, যাকে তোমরা শরীক কর। (৫৪) আল্লাহ ব্যতীত। সুতরাং তোমরা সকলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর, তারপর আমাকে অবকাশ দিও না। (৫৫) আমি অবশ্যই তাওয়াক্কুল করেছি আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর, প্রতিটি বিচরণশীল প্রাণীরই তিনি নিয়ন্ত্রণকারী। নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন’ (সূরা হূদ: ৫৪-৫৬)।