৩৩। সবসময় ও সর্বাবস্থায় দা‘ওয়াতী কাজ করা (القيام بالدعوة في جميع الأوقات والأحوال)

আল্লাহ তা‘আলা নূহ (আঃ) সম্পর্কে বলেন:

(قَالَ رَبِّ إِنِّي دَعَوْتُ قَوْمِي لَيْلًا وَنَهَارًا (5) فَلَمْ يَزِدْهُمْ دُعَائِي إِلَّا فِرَارًا (6) وَإِنِّي كُلَّمَا دَعَوْتُهُمْ لِتَغْفِرَ لَهُمْ جَعَلُوا أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِمْ وَاسْتَغْشَوْا ثِيَابَهُمْ وَأَصَرُّوا وَاسْتَكْبَرُوا اسْتِكْبَارًا (7) ثُمَّ إِنِّي دَعَوْتُهُمْ جِهَارًا (8) ثُمَّ إِنِّي أَعْلَنْتُ لَهُمْ وَأَسْرَرْتُ لَهُمْ إِسْرَارًا (9) فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا (10)) .[نوح: 5 - 10]

তিনি বললেন, ‘হে আমার রব! আমি তো আমার ক্বওমকে রাত-দিন আহবান করেছি। (৫) অতঃপর আমার আহবান কেবল তাদের পলায়নই বাড়িয়ে দিয়েছে। (৬) আর যখনই আমি তাদেরকে আহবান করেছি ‘যেন আপনি তাদেরকে ক্ষমা করেন’, তারা নিজেদের কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়েছে, নিজদেরকে পোষাকে আবৃত করেছে, (অবাধ্যতায়) অনঢ় থেকেছে এবং দম্ভভরে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছে। (৭) তারপর আমি তাদেরকে প্রকাশ্যে আহবান করেছি।(৮) অতঃপর তাদেরকে আমি প্রকাশ্যে এবং অতি গোপনেও আহবান করেছি। (৯) এবং বলেছি, ‘তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল’ (সূরা নূহ:৫-১০)।

وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصّامِتِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قالَ: دَعَانَا رَسُولُ اللهِ - صلى الله عليه وسلم - فَبَايَعْنَاهُ، فَكَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا، أَنْ بَايَعَنَا عَلَى السّمْعِ وَالطّاعَةِ، فِي مَنْشَطِنَا وَمَكْرَهِنَا، وَعُسْرِنَا وَيُسْرِنَا، وَأَثَرَةٍ عَلَيْنَا، وَأَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ، قَالَ: «إلاّ أَنْ تَرَوْا كُفْراً بَوَاحاً عِنْدَكُمْ مِنَ اللهِ فِيهِ بُرْهَانٌ». متفق عليه، أخرجه البخاري برقم (7055، 7056) , واللفظ له، ومسلم برقم (1709)

উবাদা ইবনু সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে আহবান করলেন। আমরা তার কাছে বায়‘আত করলাম। এরপর তিনি (উবাদাহ) বললেন, আমাদের থেকে যে ওয়াদা তিনি গ্রহণ করেছিলেন তাতে ছিল যে, আমরা আমাদের সুখে-দুঃখে, বেদনায় ও আনন্দে এবং আমাদের উপর অন্যকে অগ্রাধিকার দিলেও পূর্ণরূপে শোনা ও মানার উপর বায়‘আত করলাম। আরও (বায়‘আত করলাম) যে, আমরা ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ঝগড়া করব না। কিন্তু যদি স্পষ্ট কুফরী দেখ, তোমাদের কাছে আল্লাহর তরফ থেকে যে বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান, তাহলে আলাদা কথা। (ছহীহ বুখারী, হা/৭০৫৫,৭০৫৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭০৯)।