আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য নেয়ামতের মাধ্যমে তার বান্দাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। এ নেয়ামত সমূহের মূলতঃ তিনটি ধরণ রয়েছে:
(ক) সৃষ্টি সম্পর্কিত নেয়ামত (খ) সাহায্য সম্পর্কিত নেয়ামত (গ) হেদায়াত সম্পর্কিত নেয়ামত।
আর এসব নেয়ামতের মধ্যে ইসলাম সর্বাপেক্ষা বড়, যা দিয়ে যুগে যুগে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন এবং প্রেরিত রাসূলগণের সর্দার (মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সকল মানুষের নিকট পাঠিয়ে তিনি নবুঅতের ইতি টেনেছেন।
প্রত্যেক নবী-রাসূলকে আল্লাহ তা‘আলা তিনটি বিষয় বর্ণনার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন:
(১) মানুষের নিকট তাদের প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা এবং রিযিক্বদাতার পরিচয় দান করা, যাতে তারা তার ইবাদত, সম্মান ও শুকরিয়া আদায় করতে পারে।
(২) মানুষকে তার প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার রাস্তা সম্বন্ধে পরিচয় করানো, আর তা হলো দ্বীন ইসলাম।
(৩) মুমিন কাফের আল্লাহর নিকট গমনের পর মানুষের জন্য কী থাকবে, সে সম্বন্ধে তাদেরকে জানানো। আর তা হচ্ছে, মুমিনদের জন্য জান্নাত এবং কাফেরদের জন্য জাহান্নাম।
১। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَتَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَظَلُومٌكَفَّارٌ ) ... [إبراهيم: 34]
‘যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে তার সংখ্যা নিরূপণ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অধিক অত্যাচারী এবং অকৃতজ্ঞ’(সূরা ইবরাহীম:৩৪)।
২। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿وَمَا بِكُمْ مِنْ نِعْمَةٍ فَمِنَ اللَّهِ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْأَرُونَ ) [النحل: 53]
‘আর তোমাদের নিকট যে সব নেয়ামত আছে, সেসব আল্লাহর পক্ষ হতে। অতঃপর দুঃখ-দুর্দশা যখন তোমাদেরকে স্পর্শ করে, তখন তোমরা শুধু তাঁর নিকটই ফরিয়াদ কর’(সূরা আন-নাহল:৫৩)।