আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতিকে নিজ হাতে সৃষ্টি করে সকল সৃষ্টির উপর তাকে সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন, তাকে বহু সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। মানব জাতি সুনির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতির মুখাপেক্ষী, ইহকালিন ও পরকালিন কল্যাণ লাভের জন্য সকল অবস্থায় যার উপর তারা পরিচালিত হবে। আর এ নিয়মনীতিই হলো দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা তাকে সম্মানিত করেছেন, এটাকে তার দ্বীন হিসাবে পছন্দ করেছেন এবং এটা ছাড়া অন্য কিছুকে (অন্য কোন দ্বীনকে) তিনি তার পক্ষ থেকে গ্রহণ করবেন না। এ দ্বীনকে আঁকড়ে ধরা অথবা এ থেকে বিমুখ হওয়ার মাপকাঠি অনুযায়ী আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কল্যাণ ও অকল্যাণ নির্ধারণ করেন এবং এ দ্বীন গ্রহণ করা বা প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে তাকে স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন।
১। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا) [المائدة: 3]
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম আর ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসাবে পছন্দ করলাম ’ (সূরা আল-মায়েদা: ৩)।
২। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ) ... [الكهف: 29]
‘আর বল, হক্ব তোমাদের রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং যে ইচ্ছা করে, সে ঈমান আনুক এবং যে ইচ্ছা করে, সে কুফরী করুক’ (সূরা আল-কাহফ: ২৯)।
৩। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ مِنِّي هُدًى فَمَنْ تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ (38) وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (39)) [البقرة: 38 - 39]
‘আর আমরা বললাম, তোমরা সবাই তা থেকে নেমে যাও। অতঃপর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোন হেদায়াত আসবে, তখন যারা আমার হেদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না (৩৮) আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে (সূরা আল-বাকবারা: ৩৭-৩৯)।