ব্যাখ্যা: জাহিলদের রীতি হলো হেদায়াত পন্থীদেরকে অবজ্ঞা করা এবং তাদেরকে নোংরা মন্দ শব্দের মাধ্যমে উপাধী দেয়া। তারা হক্বপন্থীদেরকে সাবয়ী-দীনত্যাগী নামে ডাকে। আর (الصابئ) সাবয়ী হলো যে দীন থেকে বেরিয়ে যায়। তাই জাহিলরা হক্বপন্থীদেরকে সাবয়ী-দীনত্যাগী নামে ডাকে, যেন হক্ব থেকে বেরিয়ে গিয়েছে! কেননা, জাহিলরা যে কুফরী ও ভ্রষ্টতার উপর আছে তাদের পরিভাষায় সেটাই হক্ব। আর যারা রসূলের আনুগত্য করে, তারা সাবয়ী-দীনত্যাগী অর্থাৎ জাহিলদের অভ্যাস, অন্ধঅনুকরণ, পদ্ধতি, প্রথা এবং তাদের বাপ-দাদাদের রীতি থেকে তারা বেরিয়ে গেছে। আর জাহিলরা তাদেরকে (الحَشَويَّة) হাশাবীয়া তথা অনর্থক কর্মকারী নামেও ডাকে। (الحَشَويَّة) আল-হাশাবীয়া শব্দটি (الحشو) আল-হাশবু থেকে উদ্ভুত। আর হাশবু হলো অনর্থক বিষয় যাতে কোন উপকারীতা নেই। আর হাশবুল কালাম অনর্থক কথা হলো যাতে কোন কল্যাণ নেই। জাহিলরা তাদেরকে অদক্ষ, পশ্চাদমুখী, স্থুলবুদ্ধি সম্পন্ন এবং এরূপ অন্যান্য শব্দাবলীর মাধ্যমে নাম দেয়। কিন্তু এসব হক্বপন্থীদের কোন ক্ষতি করতে পারে না। নূহ আলাইহিস সালাম এর জাতি বলেছিল,
(وَمَا نَرَاكَ اتَّبَعَكَ إِلَّا الَّذِينَ هُمْ أَرَاذِلُنَا بَادِيَ الرَّأْيِ) [هود: 27]
আমরা দেখছি যে, কেবল আমাদের নীচু শ্রেণীর লোকেরাই বিবেচনাহীনভাবে তোমার অনুসরণ করেছে (সূরা হুদ ১১:২৭)। অর্থাৎ হক্বপন্থীরা অদক্ষ, তাদের চিন্তা-চেতনা নেই। হে নূহ! চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই তারা তোমার অনুসরণ করে। বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্নদের চিন্তা-চেতনা আছে তাই তারা তোমার অনুসরণ করেনি।