কতিপয় মূলনীতির উপর জাহিলদের দীনের ভিত্তি গঠিত। বৃহৎ ভিত্তি হলো অন্ধ অনুসরণ করা। পূর্বাপর সব কাফিরের জন্য এটাই বৃহৎ মূলনীতি।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(وَكَذَلِكَ مَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَا إِنَّا وَجَدْنَا آبَاءَنَا عَلَى أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَى آثَارِهِمْ مُقْتَدُونَ) [الزخرف: 23]

আর এভাবেই তোমাদের পূর্বে যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি, তখনই সেখানকার বিলাসপ্রিয়রা বলেছে, নিশ্চয় আমরা তো আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে এক মতাদর্শের ওপর পেয়েছি তাই আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছি (সূরা আয যুখরূফ ৪৩:২৩)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ) [لقمان: 21]

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তার অনুসরণ কর’ তখন তারা বলে, বরং আমরা তার অনুসরণ করব যার ওপর আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি।’ শয়তান তাদেরকে প্রজ্বলিত আযাবের দিকে আহবান করলেও কি (তারা পিতৃপুরুষদেরকে অনুসরণ করবে)? (সূরা লুক্বমান ৩১:২১)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(قُلْ إِنَّمَا أَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادَى ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا مَا بِصَاحِبِكُمْ مِنْ جِنَّةٍ ... ) [سبأ: 46] الآية،

বল, ‘আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি; তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়’ (সূরা সাবা ৩৪:৬৪)।

وقوله: (اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ قَلِيلاً مَا تَذَكَّرُونَ) [الأعراف: 3]

তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ হতে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর (সূরা আল ‘আরাফ ৭:৩)।

.................................................

ব্যাখ্যা: জাহিলী সমস্যা সমূহ: রসূলগণ যা নিয়ে এসেছেন তা দিয়ে জাহিলরা দীনের ভিত্তি গঠন করে না। বরং তারা নিজেদের উদ্ভাবিত মূলনীতির মাধ্যমে তারা দীনের ভিত্তি গঠন করে। এ থেকে তারা ফিরেও আসে না। জাহিলী সমস্যার মধ্যে একটি হলো: [التقليد] অন্ধ অনুসরণ করা। তা জাহিলদের পরস্পরের মাঝে কতিপয়ের অনুকরণ করা বুঝায়। যদিও অনুসৃত ব্যক্তিরা আদর্শবান নয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(وَكَذَلِكَ مَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَا إِنَّا وَجَدْنَا آبَاءَنَا عَلَى أُمَّةٍ وَإِنَّا عَلَى آثَارِهِمْ مُقْتَدُونَ) [الزخرف: 23]

আর এভাবেই তোমাদের পূর্বে যখনই আমি কোন জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি, তখনই সেখানকার বিলাসপ্রিয়রা বলেছে, নিশ্চয় আমরা তো আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে এক মতাদর্শের ওপর পেয়েছি তাই আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছি (সূরা আয যুখরুফ ৪৩:২৩)।

বিলাসীরা অধিকাংশই স্বাচ্ছন্দ্যময়ী ও সম্পদশালী। কেননা তারা মন্দ প্রকৃতির লোক ও হক্ব গ্রহণ করা থেকে বিমুখ। এটা দুর্বল ও দরিদ্রদের বিপরীত যাদের অধিকাংশই বিনয়ী ও হক্ব গ্রহণকারী। বিলাসীরা হলো খ্যাতি সম্পন্ন ও ঐশ্বর্যশালী।

আল্লাহর বাণী: (إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَا) অর্থাৎ জাহিলদের মাঝে সম্পদশালী ও প্রভাবসম্পন্ন লোক রয়েছে। আল্লাহর বাণী:

(إِنَّا وَجَدْنَا آبَاءَنَا عَلَى أُمَّةٍ) [الزخرف: 23]

নিশ্চয় আমরা তো আমাদের পূর্ব পুরুষদেরকে এক মতাদর্শের ওপর পেয়েছি (সূরা যুখরুফ ৪৩:২৩)।

অর্থাৎ জাহিলরা তাদের পূর্ব পুরুষদের আদর্শ ও দীনের অনুসারী। তারা রসূলগণের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথা বলে। তাদের ধারণা এটা রসূলগণের আনুগত্য থেকে তাদেরকে বিরত রাখবে। এটা [التقليد الأعمى] আত-তাক্বলিদুল‘আমা বা অন্ধ অনুসরণ এবং [أمور الجاهلية] উমুরুল জাহিলীয়া বা জাহিলী কর্ম। ভালকাজের অনুকরণ করার নাম [اتباعاً واقتداء] ইত্তেবা ও ইক্বতেদা তথা অনুসরণ ও অনুকরণ। আল্লাহ তা‘আলা ইউসূফ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেন,

(وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ آبَائي إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ مَا كَانَ لَنَا أَنْ نُشْرِكَ بِاللَّهِ مِنْ شَيْءٍ) [يوسف: 38]

আর আমি অনুসরণ করেছি আমার পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের ধর্ম। আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা আমাদের জন্য সঙ্গত নয় (সূরা ইউসূফ ১২:৩৮)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

(وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ) [٩:١٠٠]

মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ও প্রথম এবং যারা তাদেরকে অনুসরণ করেছে সুন্দরভাবে (সূরা আত তাওবা ৯:১০০)।

জাহিলদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

(وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لا يَعْقِلُونَ شَيْئاً وَلا يَهْتَدُونَ) [البقرة: 170]

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা অনুসরণ কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন, তারা বলে, বরং আমরা অনুসরণ করব আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে যার উপর পেয়েছি। যদি তাদের পিতৃ-পুরুষরা কিছু না বুঝে এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত না হয়, তাহলেও কি? (সূরা আল বাক্বারাহ ২:১৭০)।

যে বিবেক দ্বারা বুঝে না ও সৎ পথে পরিচালিত হয় না, তার কোন আদর্শ নেই। বিবেকসম্পন্ন ও সৎপথে পরিচালিত ব্যক্তির মাঝে আদর্শ রয়েছে। আর অন্ধ অনুসরণ জাহিলী কর্ম। এটার নাম পক্ষপাতিত্ব। কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার অনুসারীরা একমাত্র আদর্শ। অতঃপর শাইখ রহিমাহুল্লাহ আল্লাহর বাণী উল্লেখ করেন:

(وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ) [لقمان: 21]

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তোমরা তার অনুসরণ কর’ তখন তারা বলে, বরং আমরা তার অনুসরণ করব যার ওপর আমাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে পেয়েছি।’ শয়তান তাদেরকে প্রজ্বলিত আযাবের দিকে আহবান করলেও কি (তারা পিতৃ-পুরুষদেরকে অনুসরণ করবে)? (সূরা লুক্বমান ৩১:২১)

আর কাফির ও মুশরিকদের যখন বলা হয়, (اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّه) অর্থাৎ আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তথা আল-কুরআনের অনুসরণ করো।

قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ

অর্থাৎ শয়তান ঐ সব পূর্বপুরুষকে (শাস্তির দিকে) ডাকে। (إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ) তথা তোমরা কি সাঈর নামক জাহান্নামের জন্য তাদের অনুসরণ করছো? অর্থাৎ তোমাদের পূর্ব পুরুষরা শয়তানের অনুসারী হলে ও সাঈর নামক জাহান্নামের দিকে ডাকলে তবুও কি তোমরা তাদের অনুকরণ করবে?

এ বিষয়ে বিবেক দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা আবশ্যক যে, কার অনুসরণ করা হচ্ছে। অতঃপর শাইখ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহিলদের নিকট আল্লাহ তা‘আলার এ বাণী নিয়ে আসেন।

(قُلْ إِنَّمَا أَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادَى ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا مَا بِصَاحِبِكُمْ مِنْ جِنَّةٍ) [سبأ: 46]

বল, ‘আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি; তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়’ (সূরা সাবা ৩৪:৪৬)। তিনি আরোও বলেন,

(اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ قَلِيلاً مَا تَذَكَّرُونَ) [الأعراف: 3]

তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ হতে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর (সূরা আল ‘আরাফ ৭:৩)।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এ আয়াত নিয়ে আসলে তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের রীতি আঁকড়ে ধরবো। এ ব্যক্তি অর্থাৎ মুহাম্মাদ এর আনুগত্য করবো না। আল্লাহ তা‘আলার কথা হলো, এ ব্যক্তি তোমাদেরকে যা বলে সে বিষয়ে তোমরা ভেবে দেখ ও চিন্তা-ভাবনা করো। তোমরা যেন কোন পক্ষ পাতিত্ব না করো। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادَى) [ (سبأ: 46]

তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও (সূরা সাবা ৩৪:৪৬)।

মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে কোন বিষয়ে তোমাদের কোন ব্যক্তি বা দলকে ডাকলে তোমরা সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করে দেখবে। যদি সে হক্বের দিকে তোমাদেরকে ডাকে, তাহলে তার অনুসরণ করা তোমাদের উপর ওয়াজীব। আর পূর্ব পুরুষ ও বাপদাদার রীতির উপর বহাল থাকা তোমাদের জন্য বৈধ নয়।

আল্লাহর কথা (أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ) আল্লাহ তা‘আলার জন্য প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অর্থাৎ কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ ও পক্ষপাতিত্ব করবে না। বরং আল্লাহ তা‘আলার জন্য প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তোমরা হক্ব গ্রহণে আগ্রহী হবে (مَثْنَى وَفُرَادَى) দু’জন দু’জন বা একজন করে। অর্থাৎ দু’জন দু’জন করে চিন্তাভাবনা করবে, জামা‘আতবদ্ধ হবে, সমবেত হবে। কেননা সমবেত হয়ে অথবা জামা‘আতবদ্ধ থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে হক্বের নিকট পৌছানো সহজ হয়।

অথবা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন সে ব্যাপারে এককভাবে নিজে নিজে চিন্তা-ভাবনা করলে অবশ্যই হক্ব পাবে, যার আনুগত্য করা আবশ্যক। (ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا مَا بِصَاحِبِكُمْ) অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার ব্যাপারে তোমরা বলে থাকো যে, সে উন্মাদ অথচ সে উন্মাদ নয়। বরং তিনি মানুষের মধ্যে অধিক বিবেক সম্পন্ন ও সৃষ্টির মাঝে অধিক বুদ্ধিমত্তা, উপদেশ দাতা ও অধিক জ্ঞানী হিসাবে বিবেচিত। এ সত্ত্বেও তোমরা তাকে কিভাবে উন্মাদ বলো? তার বিবেক সম্পর্কে ভেবে দেখো ও চিন্তা-ভাবনা করো। তার আচরণাদী সম্পর্কে চিন্তা করো, তিনি কি উন্মাদের মতো আচরণ করেন?

(مَا بِصَاحِبِكُمْ مِنْ جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيدٍ) [سبأ: 46]

তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়’ (সূরা সাবা ৩৪:৪৬)।

যদি তার প্রতি ঈমান না আনো ও তাকে অনুসরণ না করো, তবে তোমাদের জন্য অচিরেই কঠিন শাস্তি নির্ধারিত হবে। তিনি তোমাদের উপদেশ দাতা হিসাবে আগমন করেছেন, তিনি তোমাদের কল্যাণ ও মুক্তি চান। তিনি তোমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের মঙ্গল ও সফলতা কামনা করেন।

কোন রকম চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা ছাড়াই তোমরা কিভাবে তার দিকে উন্মাদ কথাটি সম্বোধন করো অথচ তিনি কুরআন নিয়ে এসেছেন? মানুষ যা বলে তা নিয়ে প্রত্যেক বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তির চিন্তা-ভাবনা করা আবশ্যক। যাতে বিশুদ্ধ কথার পার্থক্য বুঝা যায় ও সঠিকতার মাধ্যমে ভুল নির্ণয় করা যায়। অতঃপর সঠিক বিষয় গ্রহণপূর্বক ভুল প্রত্যাখ্যান করা হয়। ফলে বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি অন্ধ অনুকরণ বশতঃ বাতিলের উপর টিকে থাকবে না।