সকল প্রকার ইবাদতের মধ্য থেকে সালাতকে বিশেষভাবে যিকর হিসাবে কুরআন করীমে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেনঃ (وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي) “এবং আমার যিকরের জন্য সালাত প্রতিষ্ঠা কর।”[1]
হজ্বের কর্মকান্ডের বর্ণনার সময় কুরআন করীমে ইরশাদ করা হয়েছেঃ
فَإِذَا أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عِندَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ
“তোমরা আরাফাত থেকে ফিরে আসার পরে মাশআরুল হারামের নিকট (মুযদালিফায়) আল্লাহর যিকর করবে।”[2]
আমরা জানি, মুযদালিফায় হাজীগণের জন্য প্রচলিত তাসবীহ, তাহলীল ইত্যাদি কোনো যিকর করা ফরয-ওয়াজিব নয়। শুধুমাত্র মাগরিব ও ঈশা’র সালাত একত্রে আদায় করা ও ফজরের সালাত আদায় করাই হাজীগণের হজব সংক্রান্ত বিধান। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, এখানে ‘আল্লাহর যিকর’ বলতে সালাত বুঝান হয়েছে। ইমাম তাবারী বলেনঃ “তোমরা যখন আরাফাত থেকে ফিরে মুযদালিফায় চলে আসবে তখন আল্লাহর যিকর করবে, এখানে যিকর বলতে মাশআরুল হারামের নিকট সালাত ও দু‘আ করাকে বুঝান হয়েছে।”[3]
আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
مَنِ اسْتَيْقَظَ مِنَ اللَّيْلِ وَأَيْقَظَ امْرَأَتَهُ فَصَلَّيَا رَكْعَتَيْنِ جَمِيعًا كُتِبَا مِنَ الذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ
“যে ব্যক্তি রাত্রে ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রীকে জাগাবে এবং দু’জনেই দুই রাক’আত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবে আল্লাহর
দরবারে তারা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ যাকিরীন বা সর্বাধিক যিকরকারী ও যিকরকারিণীগণের অন্তভর্ক্তু হবেন।”[4]
তাহলে দেখনু তাহাজ্জুদের সালাত সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর। দুই রাক’আত তাহাজ্জদ আদায়কারী কিভাবে আল্লাহর দরবারে শ্রেষ্ঠ যাকির হওয়ার মযার্দা পেলেন।
[2] সূরা বাকারাঃ ১৯৮।
[3] তাবারী, তাফসীরে তাবারী ২/২৮৭।
[4] সুনানে আবী দাউদ, কিতাবুস সালাত, নং ১৪৫১, সহীহুত তারগীব ১/৩২৮–৩২৯।