إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সর্বোত্তম উপদেশ দান করেন৷ আর আল্লাহ সবকিছুই শোনেন ও দেখেনঃ এটি সূরা নিসার ৫৮ নং আয়াতের শেষাংশ। পূর্ণ আয়াতটি হচ্ছে,
﴿إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا﴾
‘‘হে মুসলিমগণ! আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় আমানত তার হকদারদের হাতে ফেরত দেবার নির্দেশ দিচ্ছেন৷ আর লোকদের মধ্যে ফায়সালা করার সময় ‘‘আদল’’ ও ন্যায়নীতি সহকারে ফায়সালা করো৷ আল্লাহ তোমাদের বড়ই উৎকৃষ্ট উপদেশ দান করেন৷ আর আল্লাহ সবকিছুই শোনেন ও দেখেন’’।
نعم শব্দটি প্রশংসার জন্য ব্যবহৃত শব্দসমূহের অন্যতম। এর শেষে যুক্ত ما সম্পর্কে একাধিক কথা রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন এটি হচ্ছে نكرة موصوفة। সম্ভবত বাক্যটি এ রকম ছিল, نعم شيئا يعظكم به একটি উত্তম বিষয় দ্বারা তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন।
কেউ কেউ বলেছেন এখানে ما মাওসুল হিসাবে এসেছে। আসল বাক্যটি এ রকম ছিল, نعم الشيئ الذي يعظكم به অর্থাৎ যেই বিষয়টি দ্বারা তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে, তা কতই না উত্তম! يعظكم (উপদেশ দিচ্ছেন) অর্থ হলো তিনি তোমাদেরকে আমানত আদায় করার এবং মানুষের মাঝে ন্যায়ের সাথে ফয়সালা করার আদেশ দিচ্ছেন।
إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টাঃ অর্থাৎ তোমরা যা কিছু বল আল্লাহ তাআলা তা শুনেন এবং যা কিছু করো, তা তিনি দেখেন।
উপরের আয়াত দু’টি থেকে আল্লাহর শ্রবণ ও দৃষ্টি প্রমাণিত হলো। আয়াত দু’টির প্রথমটিতে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা কোন মাখলুকের অনুরূপ নন এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। উহাতে আল্লাহ তাআলার সিফাতের ক্ষেত্রে নফী ও ইছবাতকে একত্র করা হয়েছে। অর্থাৎ একই সাথে আল্লাহ তাআলার পবিত্র সত্তা হতে ত্রুটি ও দোষযুক্ত বৈশিষ্টগুলো পরিহার করা হয়েছে এবং তাঁর যাতে পাকের জন্য অতি উত্তম ও সুউচ্চ গুণাবলী সাব্যস্ত করা হয়েছে।