عَنْ خَوْلَةَ الأَنْصَارِيَّةِ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ رِجَالاً يَتَخَوَّضُونَ فِي مَالِ اللهِ بِغَيْرِ حَقٍّ فَلَهُمْ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
খাওলা আনছারী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সম্পদ দখল করবে। ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নাম রয়েছে (বুখারী, মিশকাত হা/৩৯৯৫; বাংলা-৮ম খন্ড, হা/৩৮১৯ ‘জিহাদ’ অধ্যায়)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া গ্রহণ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ রাসূলগণকে যা আদেশ করেছেন মুমিনদেরও তাই আদেশ করেছেন। তারপর রাসূল (ছাঃ) লোকের আলোচনা করলেন, যে ব্যক্তি সফরে থাকায় ধুলায় মলিন হয়। আকাশের দিকে দু‘ হাত উত্তোলন করে প্রার্থনা করছে, হে আমার প্রতিপালক, হে আমার প্রতিপালক। কিন্তু তার খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পোষক হারাম, তার জীবিকা নির্বাহ হারাম, কিভাবে তার দোআ কবুল হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬০, বাংলা, ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ/২৬৪০, ক্রয় বিক্রয় অধ্যায়)।
অত্র হাদীছে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে খাদ্য পানি পোষক হারাম থাকলে ইবাদত কবুল হবে না।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ لاَ يُبَالِي الْمَرْءُ مَا أَخَذَ مِنْهُ أَمِنَ الْحَلاَلِ أَمْ مِنْ الْحَرَامِ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মানুষের উপর এমন একটি সময় আসবে মানুষ হালাল-হারাম উপার্জনে বিবেচনা করবে না’ (বুখারী, মিশকাত হা/২৭৬১)।
عَنْ كَعَب بن عجرة قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَدْخُلُ الجنة جَسَدٌ غُذِيَ بِالحَرَامِ
কা‘ব ইবনু উজরা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘হারাম খাদ্য ভক্ষণ করা শরীর জান্নাতে যাবে না’ (মিশকাত/২৭৮৭ ; বাংলা ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ/২৬৬৭)।
عَنْ النُّعْمَانِ بْنَ بَشِيرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ فَمَنْ اتَّقَى الْشُبْهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَاعِيْ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ أَلاَ وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلاَ وَهِيَ الْقَلْبُ
নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘হালালও স্পষ্ট হারামও স্পষ্ট। উভয়ের মধ্যে কিছু অস্পষ্ট রয়েছে যা অনেক মানুষ জানে না। যে ব্যক্তি অস্পষ্ট থেকে বেঁচে থাকবে সে তার দ্বীন ও তার মর্যাদাকে পূর্ণ করে নিবে। আর যে ব্যক্তি অস্পষ্ট গ্রহণ করবে সে হারামকে গ্রহণ করবে। যেমন একটি রাখাল ক্ষেতের সীমানায় ছাগল চরালে শস্য খেতে যেতে পারে। মনে রেখো, প্রত্যেক বাদশার একটি সীমা রয়েছে আর আল্লাহর সীমানা হচ্ছে তার হারাম। নিশ্চয়ই শরীরে একটি টুকরা আছে টুকরাটি ঠিক থাকলে সম্পূর্ণ শরীর ঠিক থাকবে টুকরাটি নষ্ট হয়ে গেলে সম্পূর্ণ শরীর নষ্ট হয়ে যাবে। আর তা হচ্ছে দেল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।