عَن أم سَلمَة قَالَتْ مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ يَصُومُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ إِلَّا شَعْبَانَ وَرَمَضَانَ.
উম্মে সালামাহ্ (রা.) বলেন, আমি কখনও নবী করীম(সা.) কে দু’মাসের ছিয়াম এক সাথে রাখতে দেখিনি শা’বান ও রমাযান ব্যতীত (আবুদাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৯৭৬)।
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بركَة.
আনাস (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, তোমরা সাহরী খাবে। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে (মুত্তাফাক্বব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৮২)।
عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَكْلَةُ السَّحَرِ.
আমর ইবনুল ‘আছ (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, আমাদের ছিয়াম ও আহলে কিতাব (ইহুদী-খৃষ্টানদের) ছিয়ামের মধ্যে পার্থক্য হল ‘সাহরী’ খাওয়া (মুসলিম, মিশকাত হা/১৯৮৩)।
عَنْ سَهْلٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ.
সাহ্ল ইবনে সা‘দ (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, মানুষ কল্যাণের সাথে থাকবে যতকাল তারা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে (মুত্তাফাক্বব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৮৪)।
عَنْ أَنَسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رُطَبَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ فَتُمَيْرَاتٌ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تُمَيْرَاتٌ حَسَى حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ.
আনাস (রা.) বলেন, নবী করীম(সা.) (মাগরিবের) ছালাত পড়ার পূর্বে কয়েকটি তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর না থাকত, শুকনা খেজুর দ্বারাই ইফতার করতেন। যদি শুকনা খেজুরও না থাকত, তবে কয়েক কোশ পানি খেতেন (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৯৯১)।
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم من فَطَّرَ صَائِمًا أَوْ جَهَّزَ غَازِيًا فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ.
যায়েদ ইবনে খালেদ (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ছায়েমকে ইফতার করিয়েছে অথবা কোন গাযীকে জিহাদের সামগ্রী দান করেছে, তার জন্যও তার অনুরূপ ছওয়াব রয়েছে (বায়হাক্বী, মিশকাত হা/১৯৯২)।
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ إِذَا أَفْطَرَ قَالَ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ الله.
ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নবী করীম(সা.) যখন ইফতার করতেন বলতেন, তৃষ্ণা দূর হল শিরা উপশিরা সিক্ত হল এবং আল্লাহ্ চান তো ছওয়াব নির্ধারিত হল (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৯৯৩)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا يَزَالُ الدِّينُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلَ النَّاسُ الْفِطْرَ لِأَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى يُؤَخِّرُونَ.
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, দ্বীন জয়ী থাকবে যতকাল লোক তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কেননা, ইহুদী ও নাছারারা দেরিতে ইফতার করে (আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৯৯৫)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِي أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابه.
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং মিথ্যা আচারণ ছাড়েনি, তার খানাপিনা ছেড়ে দেওয়াতে আল্লাহর কোন কাজ নেই (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৯৯)। যারা ছিয়াম পালন করে মিথ্যা কথা বলে, তারা দিনে খাদ্য খেলে বা না খেলে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। কারণ সে নেকী পাবে না।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ الْكَعْبِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِن اللهَ وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ شَطْرَ الصَّلَاةِ وَالصَّوْمَ عَنِ الْمُسَافِرِ وَعَنِ الْمُرْضِعِ وَالْحُبْلَى.
আনাস ইবনে মালেক কা‘বী (রা.) (আনাস ইবনে মালেক নন) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা মুসাফির হতে (চিরতরে) অর্ধেক ছালাত এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিনী মাতা ও গর্ভবতী স্ত্রীলোক হতে (আপাতত) ছিয়াম উঠিয়ে দিয়েছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২০২৫)। স্তন্যদানকারিণী ও গর্ভবতী নারী অন্যকে খাওয়াতে পারে।
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لَا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لَا يَصُومُ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ اِسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهَرٍ قَطُّ إِلَّا رَمَضَانَ وَمَا رَأَيْتُهُ فِي شَهْرٍ أَكْثَرَ مِنْهُ صِيَامًا فِي شَعْبَانَ. مُتَّفق عَلَيْهِ وَفِي رِوَايَةٍ قَالَتْ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ وَكَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ إِلَّا قَلِيلاً.
আয়েশাgবলেন, রাসূল(সা.) ছিয়াম রাখতে থাকতেন যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি আর ছিয়াম ছাড়বেন না। এভাবে তিনি ছিয়াম ছাড়তে আরম্ভ করতেন, যাতে আমরা বলতাম যে, তিনি বুঝি আর (এ মাসে) ছিয়াম রাখবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে কখনও রমাযান ছাড়া পূর্ণ মাস ছিয়াম রাখতে দেখিনি এবং এই শা‘বান অপেক্ষা কোন মাসে অধিক ছিয়াম রাখতেও দেখিনি। অপর এক রেওয়ায়াতে আছে, আয়েশাgবলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)পূর্ণ শা‘বান মাসেই ছিয়াম রাখতেন (অর্থাৎ) কয়েক দিন ব্যতীত পূর্ণ শা‘বান ছিয়াম রাখতেন (মুত্তাফাক্বব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২০৩৬)।
عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَاَفْضَلُ الصَّلَوةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلَوةُ اللَّيْلِ.
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূল(সা.) বলেছেন, ‘রমাযানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের ছিয়ামই শ্রেষ্ঠ এবং ফরয ছালাতের পর রাতের ছালাতই শ্রষ্ঠ ছালাত’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩৯)।
عَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ حِينَ صَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ يَوْمٌ يُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَئِنْ بَقِيتُ إِلَى قَابِلٍ لَأَصُوْمَنَّ التَّاسِعَ.
ইবনে আববাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)আশুরার দিনে ছিয়াম রাখলেন এবং তাতে ছিয়াম রাখার জন্য নির্দেশ দিলেন, ছাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই দিনকে তো ইহুদী ও নাছারাগণ সম্মান করে! তখন তিনি বললেন, যদি আমি আগামী বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকি নিশ্চয় আমি নবম তারিখেও ছিয়াম রাখব (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪১)।