عَن أَنَسٍ قَالَ: أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِوَجْهِهِ فَقَالَ: أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ.
আনাস (রা.) বলেন, একদা ছালাতের তাকবীর বলা হল, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের প্রতি মুখ ফিরালেন এবং বললেন, তোমাদের কাতার সোজা কর এবং পরস্পরে মিলিত হয়ে দাঁড়াও! নিশ্চয়ই, আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিক হতেও দেখে থাকি (বুখারী, মিশকাত হা/১০৮৬)।
عَن أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ من إِقَامَة الصَّلَاة. وَفِيْ مُسْلِمٍ (مِنْ تَمَامِ الصَّلَاةِ).
আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, তোমরা কাতার ঠিক করবে। কেননা কাতার ঠিক করা ছালাত প্রতিষ্ঠার অন্তর্গত। আর মুসলিমে রয়েছে, কাতার ঠিক করাই হচ্ছে ছালাতের পূর্ণতা (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১০৮৭)।
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ مَنَاكِبَنَا فِي الصَّلَاةِ وَيَقُولُ: اسْتَوُوا وَلَا تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوْبُكُمْ لِيَلِيَنِى مِنْكُم أولُوا الْأَحْلَامِ وَالنُّهَى ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ.
আবু মাসঊদ আনসারী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)ছালাতে আমাদের কাঁধ স্পর্শ করতেন এবং বলতেন, সোজা হয়ে দাঁড়াও এবং বিভিন্নরূপে দাঁড়াইও না, তাতে তোমাদের অন্তরসমূহ বিভিন্ন হয়ে যাবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা বয়স্ক ও বুদ্ধিমান, তারাই যেন আমার নিকটে (প্রথম ছফে) থাকে। অতঃপর যারা বয়স ও বুদ্ধিতে তাদের নিকটবর্তী তারা। অতঃপর যারা উভয় ব্যাপারে এদের নিকটবর্তী তারা (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৮৮)।
عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا لِى أَرَاكُمْ عِزِينَ. ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا. فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهَا؟ قَالَ يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَيَتَرَاصُّونَ فِى الصَّفِّ.
জাবির ইবনু ছামূরা (রা.) বলেন, একদা রাসূল(সা.) আমাদের নিকট আসলেন এবং দেখলেন আমরা গোল হয়ে দলে দলে বসে আছি। তখন তিনি বরলেন, তোমাদেরকে আমি বিচ্ছিন্নভাবে কেন দেখছি? অতঃপর আর একদিন তিনি আমাদের নিকট আসেন এবং আমাদেরকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলেন। তিনি বললেন, তোমরা ফেরেশতাদের মত সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াচ্ছ না কেন? যেমন তাঁরা তাদের প্রতিপালকের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়? আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাঁরা তাদের প্রতিপালকের সামনে কিভাবে দাঁড়ায়? তিনি বললেন, প্রথমে প্রথম সারিসমূহ পূর্ণ করে এবং সারিতে পরস্পর মিলিয়ে দাঁড়ায় (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৯১)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا وَشَرُّهَا آخِرُهَا وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا.
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, পুরুষ লোকের কাতারসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল প্রথম কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট কাতার হল শেষ কাতার, আর স্ত্রীলোকের কাতারসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম কাতার হল শেষ কাতার এবং নিকৃষ্ট কাতার হল প্রথম কাতার (মুসলিম, মিশকাত হা/১০৯২)।
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالْأَعْنَاقِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ. وَفِيْ أَحْمَدَ (وَسُدُّوْا الْخَلَلَ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ فِيْمَا بَيْنَكُمْ بِمَنْزِلَةِ الْحَذَفِ). وَلاَ تَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللهُ.
আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেন, তোমরা কাতারসমূহে প্রাচীরের মত হয়ে দাঁড়াও এবং সারিসমূহকে নিকটে নিকটে রাখ (অনুমান আড়াই হাত ফাঁক করে)। আর তোমাদের ঘাড়সমূহকে সমপর্যায়ে সোজা রাখ। সেই আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার জান আছে- নিশ্চয়ই আমি শয়তানকে দেখি, সে কাতারের ফাঁকসমূহে প্রবেশ করে, যেন কাল ভেড়ার বাচ্চা (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১০৯৩)। আহমাদ গ্রন্থে আছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, আর তোমরা কাতারের ফাঁক বন্ধ কর। কেননা শয়তান তোমাদের মাঝে ছাগলের বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করে। আহমাদ গ্রন্থের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, আর তোমরা শয়তানের জন্য কাতারের মাঝে ফাঁক রেখো না। যারা কাতারে মিলে মিলে দাঁড়াবে, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন। আর যারা কাতারের মাঝে ফাঁক রাখবে, আল্লাহ তাদের উপর রহমত ছিন্ন করবেন (আহমাদ হা/৫৭২৪)।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَعَلَى الثَّانِي قَالَ: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَعَلَى الثَّانِي قَالَ: إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولَ الله وعَلى الثَّانِي؟ قَالَ: وعَلى الثَّانِي.
আবু উমামা বাহেলী (রা.) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.)বললেন, প্রথম ছফের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণের ‘রহমত’ হৌক। এটা শুনে ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় ছফের প্রতিও (এরূপ দো‘আ)। তিনি বললেন, প্রথম ছফের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণের ‘রহমত’ হৌক। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় ছফের প্রতিও। তিনি বললেন, প্রথম ছফের প্রতি আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণের ‘রহমত’ হৌক। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় ছফের প্রতিও। তিনি বললেন, হ্যাঁ, দ্বিতীয় ছফের প্রতিও (আহমাদ, মিশকাত হা/১১০১)।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوْا، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي التَّهْجِيْرِ لاَسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا-
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি মানুষ জানত আযান দেয়া এবং ছালাত আদায়ের জন্য প্রথম সারিতে দাঁড়ানোর মধ্যে কি নেকী রয়েছে, তাহলে লটারী করা ব্যতীত তাদের কোন উপায় থাকত না। আর যদি তারা জানত প্রথম সময়ে ছালাত আদায় করাতে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা অন্যের আগে পৌঁছার আপ্রাণ চেষ্টা করত। আর যদি তারা জানত এশা ও ফজর ছালাতের মধ্যে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা এই ছালাত আদায়ের জন্য হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আসত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮)।
عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاَثًا وَلِلثَّانِى مَرَّةً.
ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) প্রথম সারির জন্য তিনবার ক্ষমা চাইতেন আর দ্বিতীয় সারির জন্য একবার ক্ষমা চাইতেন (ইবনু মাজাহ হা/৯৯৬)।
عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِي صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً، أَوْ بَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ.
উরওয়া ইবনু যুবায়ের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করবে আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দিবেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/৩৮৪৪)।
عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِيْ جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيْهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِي الصَّفِّ غُفِرَ لَهُ.
আ‘উন ইবনু আবী জুহায়ফা (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, নবী কারীম (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি কাতারের মধ্যে ফাঁকা বন্ধ করবে, তাকে ক্ষমা করা হবে (মুসনাদু বাযযার হা/৪২৩২)।