হজকে উমরায় পরিণত করতে রাসূল্লাল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহবান সাহাবীগণের সাড়া

৪২- ‘অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে’[1] ‘মানুষের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাবলি বর্ণনা করে বললেন,’[2]

«أَبَاللَّهِ تُعَلِّمُونِي أَيُّهَا النَّاسُ، قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ»

‘হে মানুষ, তোমরা কি আমাকে আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছ?’[3] তোমরা জানো নিশ্চয় আমি তোমাদের চেয়ে আল্লাহকে বেশি ভয় করি, তোমাদের চেয়ে অধিক সত্যবাদি, তোমাদের চেয়ে অধিক সৎকর্মশীল।

«افْعَلُوا مَا آمُرُكُمْ بِهِ فَإِنِّى لَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّون وَلَكِنْ لاَ يَحِلُّ مِنِّي حَرَامٌ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ. وَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِى مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمْ أَسُقِ الْهَدْىَ فَحِلُّوا»

‘আমি তোমাদেরকে যা নির্দেশ করছি তা পালন কর।’[4] আমার সাথে যদি হাদী (যবেহের জন্য পশু) না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম যেরূপ তোমরা হালাল হয়ে যাচ্ছ। ‘কিন্তু যতক্ষণ না হাদী তার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছবে, [অর্থাৎ দশ তারিখ হাদী যবেহ না হবে] ততক্ষণ আমার পক্ষে হারামকৃত বিষয়াদি হালাল হবে না।’[5] ‘যদি আমি যা পিছনে রেখে এসেছি এমন কাজগুলো আবার নতুন করে করার সুযোগ থাকত, তাহলে হাদী সাথে নিয়ে আসতাম না। অতএব, তোমরা হালাল হয়ে যাও।’[6]

৪৩- ‘জাবের রা. বললেন, আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করলাম এবং সুগন্ধি ব্যবহার করলাম। আমরা আমাদের স্বাভাবিক পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিধান করলাম।’[7] ‘আমরা রাসূলের কথা শুনলাম এবং মেনে নিলাম।’[8] ‘অতপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এবং যাদের সাথে হাদী ছিল[9] তারা ব্যতিত সবাই হালাল হয়ে গেল এবং চুল ছোট করল।’[10]

[1]. মুসলিম, তাহাবী, ইবন মাজাহ্‌।

[2]. মুসনাদে আহমদ, তাহাবী,

[3]. বুখারী।

[4]. বুখারী, মুসলিম।

[5]. বুখারী।

[6] মুসলিম, ইবন মাজাহ্‌, তাহাবী।

[7]. মুসলিম, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ।

[8]. মুসলিম, তাহাবী।

[9]. যাদের সাথে হাদী ছিল তাঁরা হলেন, রাসূল সা., তালহা রা., আবু বকর রা., উমর রা., যুল ইয়াসারা রা. ও যুবাইর রা.। সুতরাং তাঁরা কিরান হজ করেছেন। এরা ছাড়া সবাই তামাত্তু হজ করেছেন। (বুখারী, মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ)

[10]. ইবন মাজাহ্‌, তাহাবী।