পুরুষগণ ইহরাম বাঁধার সময় ও পরে উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أَتَانِى جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِى أَنْ آمُرَ أَصْحَابِى وَمَنْ مَعِى أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالإِهْلاَلِ - أَوْ قَالَ - بِالتَّلْبِيَةِ».
‘আমার নিকট জিবরীল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম[1] এসে আদেশ দিলেন। আমি যেন আমার সাথিদেরকে তালবিয়া দ্বারা তাদের কণ্ঠস্বর উচুঁ করতে নির্দেশ দেই।’[2]
পুরুষ-মহিলা সকলের ক্ষেত্রেই তালবিয়া পাঠ ও অন্যান্য যিক্রসমূহের গুরুত্ব সমান। পার্থক্য এতটুকু যে, মহিলারা পুরুষের মত উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে না। নিজে শুনতে পারে এতটুকু আওয়াযে মহিলারা তালবিয়া পাঠ ও অন্যান্য যিক্রসমূহ করবে। ইবন আবদুল বার বলেন, আলিমগণ এ ব্যাপারে একমত যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে কণ্ঠস্বর উঁচু না করাই সুন্নত। মহিলারা এমনভাবে তালবিয়া পাঠ করবেন যেন তারা শুধু নিজেরাই শুনতে পান। তাদের আওয়াযে ফেতনার আশঙ্কা আছে বিধায় তাদের স্বর উচুঁ করাকে অপছন্দ করা হয়েছে। এ কারণে তাদের জন্য আযান ও ইকামাত সুন্নত নয়। নামাজে ভুল শুধরে দেওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য সুন্নত হল তাছফীক তথা মৃদু তালি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা।[3] অথচ পুরুষদের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে, তাসবীহ বা সুবহানাল্লাহ্ বলে ইমামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ইবন আব্বাস রা. বলেন, মহিলারা স্বর উচ্চ করে তালবিয়া পাঠ করবে না।[4]
উমরাকারী ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ শুরু করার পূর্ব মুহূর্তে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। আর হজ পালনকারিগণ ব্যক্তি কুরবানীর দিন জামরাতুল ‘আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্ব মুহূর্তে তালবিয়া পাঠ বন্ধ করবে। ফযল ইবন আব্বাস রা. বলেন,
«لَمْ يَزَلِ رسول الله صلى الله عليه وسلم يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ».
‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামরাতুল ‘আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতেন।’[5]
[2]. আবূ দাউদ : ১৮১৪।
[3]. বুখারী : ৬৮৪।
[4]. সাঈদ আবদুল কাদির : প্রাগুক্ত, পৃ.৮৭।
[5]. বুখারী : ১৫৪৪; মুসলিম : ১২৮১।