ইহরাম হজের অন্যতম রুকন বা ফরয। ইহরাম ছাড়া হজ কিংবা উমরা- কোনটিই সহীহ হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى»

‘সব কাজের ফলাফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করে।’[1] আর হজ শুরু করার নিয়তের নামই ইহরাম। অতএব ইহরামের নিয়ত ছাড়া হজ সহীহ হবে না।

কেউ নফল হজ বা নফল উমরার ইহরাম বাঁধলে তার ওপর তাও পূরণ করা ওয়াজিব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَأَتِمُّواْ ٱلۡحَجَّ وَٱلۡعُمۡرَةَ لِلَّهِۚ ﴾ [البقرة: ١٩٦]

‘আর তোমরা আল্লাহর জন্য হজ ও উমরা পূর্ণ কর।’[2]

হজ বা উমরা পালনকারিগণ ইহরামের কাপড় খুলে ফেলার সময় হওয়ার পূর্বেই তা খুলে ফেলে হালাল হয়ে যাওয়ার সংকল্প করলেও তার ইহরাম বাতিল হবে না, বরং তার ইহরাম ত্যাগই অসার কাজ হিসেবে গণ্য হবে- এতে কারো দ্বিমত নেই। সুতরাং যেকোনোভাবে তাকে ইহরাম পরবর্তী কাজ শেষ করতে হবে।[3]


>

[1]. বুখারী : ০১; মুসলিম : ১৯০৭।

>

[2]. বাকারা : ১৯৬।

>

[3] একমাত্র ইসলাম পরিত্যাগ করা ছাড়া অন্য কিছু ইহরামের জন্য অন্তরায় নয়। সুতরাং কোনো ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে গেলে তার ইহরাম বাতিল বলে গণ্য হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَٱلَّذِينَ كَذَّبُواْ بِ‍َٔايَٰتِنَا وَلِقَآءِ ٱلۡأٓخِرَةِ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡۚ هَلۡ يُجۡزَوۡنَ إِلَّا مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ﴾ [الاعراف:١٤٧]

‘আর যারা আমার আয়াতসমূহ ও আখিরাতের সাক্ষাতে মিথ্যারোপ করেছে তাদের কর্মসমূহ বিনষ্ট হয়ে গেছে। তারা যা করে তা ছাড়া কি তাদের প্রতিদান দেয়া হবে ?’ এরপর যদি সে তাওবা করে এবং ইসলামে ফিরে আসে, তবে তাকে হজ বা উমরা করার জন্য নতুন করে ইহরাম বাঁধতে হবে। কেননা, ইসলাম ত্যাগের কারণে তার আগের ইহরাম বাতিল হয়ে গেছে।