ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম বলেন, জমা তথা সালাতকে একত্রিত করে আদায় করা সাধারণ নিয়মের পর্যায়ে নয় যেমনটি অনেক মুসাফির মনে করে থাকে যে সফরের নিয়ম হচ্ছে একত্রিত করা, ওযর থাকুক বা না থাকুক। বরং সফরে জমা তথা একত্র করে আদায় করা হচ্ছে রুখসত বা ছাড়। আর সফরে কসর করা হচ্ছে স্থায়ী নিয়ম-নীতি। সুতরাং সে হিসেবে বলা যায় যে, মুসাফিরের জন্য স্থায়ী নিয়ম হচ্ছে চার রাকা‘আত সালাতকে দু’রাকা‘আত আদায় করা, সেখানে ওযর থাকুক বা না থাকুক। পক্ষান্তরে দু নামাযকে একত্রিত করে আদায় করার বিধান প্রয়োজনের তাগিদে এবং রুখসত বা ছাড় হিসেবে দেওয়া হয়েছে। এটা এক ধরনের অপরটি অন্য ধরনের। [আল-ওয়াবিলুস সাইয়্যেব, পৃ. ১৪]
আর এজন্য মালেকী মাযহাবের লোকদের মতে সফরে দু’ সালাত একত্রে আদায় করা উত্তমের বিপরীত; কারণ প্রত্যেক সালাতকে তার নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত করাই হচ্ছে উত্তম। তাই উত্তম হচ্ছে তা না করা। যদি তা করা মাকরূহ নয়। মালেকী মাযহাবের লোকগণ এটাকে ‘জাওয়ায মুস্তাওয়ীত ত্বারফাইন’ বা এমন জায়েয যার উভয় দিক সমান, এ নামে নামকরণ করে থাকে। [মিনাহুল জালীল, ১/৪১৬; শারহুল খুরাশী, ২/৬৭]
পক্ষান্তরে হাম্বলী মাযহাবের আলেমগণের মতে, জমা করা মুস্তাহাব নয়, বরং ত্যাগ করাই উত্তম।